‘বিজনেস টাইম’ পর্ব- ০৯
চাইনিজ একাডেমি অফ ম্যাক্রোইকোনমিক রিসার্চ-এর অর্থনৈতিক গবেষণা ইন্সস্টিটিউটের সহযোগী গবেষক লু চিয়াংইয়ুয়ান উল্লেখ করেন, ফিচ রেটিং চীনের ডিফল্ট রেটিংকে নেতিবাচক বললেও চীনের ইসুয়ার ডিফল্ট রেটিং এখনও ‘এ প্লাস’ শ্রেণিতে আছে। যার মানে হলো চীনে বিনিয়োগ পুরোপুরি ঝুঁকিমুক্ত।
লু বলেন, এই রেটিংয়ে মূলত চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনার প্রতি বিদেশি সংস্থাগুলোর আস্থার প্রতিফলন ঘটেছে। সেই সঙ্গে বৈশ্বিক বাণিজ্যের কেন্দ্র ও বিদেশি বিনিয়োগের শক্তিমত্তার বিষয়টিও উঠে এসেছে এতে।
ফিচ রেটিং সম্প্রতি চীনের সরকারি খাতের লেভারেজ অনুপাত বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগের কারণে নেগেটিভ রেটিং দিলেও, চীনের সকারের এ ঋণ ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণযোগ্য। লু’র মতে, ফিচ রেটিং সরকারের এ ঋণ ঝুঁকি কিছুটা বাড়িয়ে বলেছে।
এনডিআরসির কর্মকর্তা বলেন, এ বছরের প্রথম দুই মাসে স্থায়ী সম্পদ বিনিয়োগ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪.২ শতাংশ বেড়েছে। জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যমতে, রিয়েল এস্টেট বাদ দিলে, চীনে স্থায়ী সম্পত্তিতে বিনিয়োগ বেড়েছে ৮.৯ শতাংশ।
এ ছাড়া চীনের অর্থনীতিতে স্থিতিশীল অবস্থা দেখা যাচ্ছে কারণ একই সাথে দেশটির রপ্তানি, শিল্প উৎপাদন এবং বিনিয়োগ সূচকও উন্নত হচ্ছে।
প্রত্যাশার চেয়ে চীনের অর্থনৈতিক পারফরম্যান্স ভালো হওয়ায় মরগান স্ট্যানলি এবং গোল্ডম্যান স্যাকস কিন্তু এই বছর চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে।
মরগান স্ট্যানলি ২০২৪ সালের জন্য চীনের জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা ৪.২ শতাংশ থেকে ৪.৮ শতাংশে উন্নীত করেছে। গোল্ডম্যান স্যাকসও চীনের প্রবৃদ্ধির প্রত্যাশার সূচক ৪.৮ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫ শতাংশে উন্নীত করেছে। এ ছাড়া চীনের ত্রৈমাসিক জিডিপি ৪.৫ শতাংশের পরিবর্তে ৫ শতাংশ হবে বলেও মনে করছে সংস্থা দুটো।
সম্প্রতি চীনের পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রকাশিত তথ্যে বলা হয়, এ বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে চীনের জিডিপি দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৬৩০ বিলিয়ন ইউয়ানে। যা তার আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি। অর্থাৎ এ বছরের প্রথম তিন মাসে চীন তার প্রত্যাশার চেয়েও বেশি প্রবৃদ্ধির ইঙ্গিত দিতে সক্ষম হয়েছে।