‘বিজনেস টাইম’ পর্ব- ৫
উন্নয়নের নতুন অধ্যায়
গত বছর চীনা নিকারাগুয়ার সঙ্গে একটি বাণিজ্যিক চুক্তি স্বাক্ষর করে এবং সিঙ্গাপুরের সঙ্গেও চুক্তি সই করার পদক্ষেপ নেয়। এর মাধ্যমে চীন সম্পূর্ণ নতুন কিছু বিনিয়োগ প্রকল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত হলো। যা চীনের অর্থনীতির ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে।
সিঙ্গাপুরের সঙ্গে সম্পন্ন হওয়া চুক্তিকে দুই দেশের মধ্যে উন্নয়নের সেতুবন্ধন হিসেবে ব্যক্ত করেন চীনের খ্যাতনামা বাণিজ্য বিষয়ক গবেষক ইউয়ান বো।
গত বছর আরসিইপি তথা রিজিওনাল কম্প্রিহেনসিভ ইকোনোমিক পার্টনারশিপভুক্ত দেশগুলোর সাথে চীনের বাণিজ্য ছিল ১২ দশমিক ৬ ট্রিলিয়ন ইউয়ান। বিশ্লেষক বো এর মতে তাই চীন আরসিইপি থেকে যেমন সুবিধা পাচ্ছে, তেমনি এর বড় প্রদায়ক হিসেবেও কাজ করছে।
বাণিজ্য বিষয়ক ভাইস মিনিস্টার ওয়াং শৌয়েন বলেছেন, এ বছরও চীন তার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে বদ্ধপরিকর। এর জন্য মুক্ত বাণিজ্য বিষয়ক আলোচনা বাস্তবায়নের জন্য চীন নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। যে তালিকায় আছে শুল্কছাড়যুক্ত পণ্যের বিক্রি বাড়ানো, পরিষেবামূলক বাণিজ্যের প্রসার এবং ডিজিটাল ও সবুজ অর্থনীতি বিষয়ক কার্যক্রম।
।। প্রতিবেদন: ফয়সল আবদুল্লাহ
।। সম্পাদনা: শাহানশাহ রাসেল
চীন বিদেশি বিনিয়োগে বাড়াতে কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ করছে:
সম্প্রতি চীন তাদের অর্থনীতিতে জোর দিচ্ছে উচ্চমানের উন্মুক্তকরণে। আর এর জন্য আগে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়াতে হবে। যে কাজে চীন ইতোমধ্যেই বেশ সফল। এবার সেই বিনিয়োগ যেন আরও উচ্চমানের হয়, আরও উন্মুক্ত হয়, সেটা নিশ্চিত করতে চীনের রাষ্ট্রীয় কাউন্সিলের জেনারেল অফিস একটি কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ করেছে।
কর্মপরিকল্পনায় গুরুত্ব দিয়ে বলা হয়েছে, বিদেশি বিনিয়োগ চীনকে আধুনিকীকরণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ শক্তি। যা চীনের অর্থনীতি এবং বিশ্ব অর্থনীতি সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের গতিকে উন্নীত করবে।