‘বিজনেস টাইম’ পর্ব- ৫
মুক্ত বাণিজ্য নেটওয়ার্কের বিস্তার
চীন-আসিয়ানের মধ্যবর্তী অবাধ বাণিজ্যিক বিষয়ক তৃতীয় পর্যায়ের আলোচনা এ সপ্তাহে চীনের হাংচৌতে অনুষ্ঠিত হবে। দেশটির বাণিজ্য বিষয়ক উপমন্ত্রী ওয়াং শৌয়েন এ বছরের মধ্যে আলোচনাটি শেষ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
চীন ও আসিয়ানের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চলটি তৈরি হয়েছিল ২০১০ সালে। রাজস্ব বিভাগের তথ্যানুসারে এ বাণিজ্যে ২০১৩ সাল থেকে বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ছিল ৮.৮ শতাংশ। ২০২৩ সালে আসিয়ান টানা চর্তুথবারের মতো চীনের সর্বোচ্চ বাণিজ্য অংশীদার হয়েছিল। চীনও টানা বেশ কয়েকবছর আসিয়ানের সেরা বাণিজ্য অংশীদার হিসেবে নিজের অবস্থান ধরে রেখেছে।
দুই পক্ষ তাদের এ উন্নয়নের ধারা বজার রাখতে ২০২২ নভেম্বর মাসে মুক্ত বাণিজ্যের চুক্তিগুলোর তৃতীয় সংস্করণের জন্য প্রথম আলোচনা সভার আয়োজন করে। এ সভায় বাণিজ্যিক বিভিন্ন ক্ষেত্র যেমন পণ্য, বিনিয়োগ , ডিজিটাল ও পরিবেশবান্ধব অর্থনীতির বিষয়ে নানা আলোচনা হয়।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ভবিষ্যতে চীন-আসিয়ানের অবাধ বাণিজ্য দুই পক্ষের অর্থনৈতিক সম্পর্ককে মজবুত করার পাশাপাশি ব্যাপক আঞ্চলিক অর্থনৈতিক উন্নয়নও ঘটাবে।
চীনের সঙ্গে অন্যান্য দেশের আন্তজার্তিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নের ধারাকে আরও ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে চীনা-আসিয়ানের অবাধ বাণিজ্যিক ধারার তৃতীয় সংস্করণকে উদাহরণ হিসেবে অনুসরণ করার কথা বলেন চীনের রেনমিন ইউনিভার্সিটির খ্যাতনামা শিক্ষক ওয়াং ইওয়েই।
আসিয়ান ছাড়াও পেরু ও হন্দুরাসের সঙ্গে চীন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করার পরিকল্পনা করছে। এ ছাড়া গাল্ফ করপোরেশন কাউন্সিল, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া ও সুইজারল্যান্ডের সাথেও বাণিজ্যিক উন্নয়নে কাজ করবে চীন। ট্রান্স-প্যাসিফিক পার্টনারশিপ ও ডিজিটাল ইকোনমি পার্টনারশিপের সাথেও একই ধরনের চুক্তি করার বিষয়ে প্রচেষ্টা থাকবে চীন সরকারের। এ নিয়ে ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে চীন।