বিজনেস টাইম ১
ইউনের এ কম্পানি দুই বছর আগে দুবাইতে কাজ শুরু করে। একান্ত প্রচেষ্টা, সাহসিকতা ও অধ্যবসায়ের ফলে পার্সেল হ্যান্ডলিং সক্ষমতার দিক থেকে শীর্ষ তিনটি লজিস্টিক কম্পানির একটি হয়ে উঠেছে তার কম্পানি।
ইউন বোর কম্পানির ব্যবস্থাপনা দলে ৩০ জনেরও বেশি চীনা নাগরিক কাজ করছেন।
আন্তঃসীমান্ত ই-কমার্স কম্পানির জেনারেল ম্যানেজার চাও চাও বলেন,
`আমরা যখন প্রথম মধ্যপ্রাচ্যে এসেছিলাম তখন এটি খালি জায়গা ছিল। আমরা চীন থেকে সরঞ্জাম কিনে এনেছিলাম। আমাদের সংযুক্ত আরব আমিরাতের সহকর্মীরা তো প্রথম দিকে কাজ আর জীবনকে এক করে ফেলেছিলেন। কারণ দিনভর তাদের কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছিল।‘
ইউন এবং তার সহকর্মীরা তাদের অফিস বিল্ডিংকে বিভিন্ন চীনা সাংস্কৃতিক উপাদান দিয়ে সজ্জিত করেছিলেন এবং বসন্ত উৎসব বা চীনা নববর্ষ উদযাপন করতে একসঙ্গে ডাম্পলিং তৈরি করেছিলেন।
এখন ইউন এবং তার বস দুবাইতে তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য একটি বড় গুদামঘর স্থাপনের পরিকল্পনা করছেন।
এবার বিশ্লেষণ পর্ব:
চীন এবং বাংলাদেশের সম্পর্ক প্রায় অর্ধশতক হতে চলেছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন, অগ্রগতির ও বন্ধুত্বের সাক্ষি হয়ে আছে দেশটি। সম্প্রতি দেশে তাৎক্ষণিক লেনদেন নিষ্পত্তির ব্যবস্থা রিয়েল টাইম গ্রোস সেটলমেন্ট এ যুক্ত হয়েছে চীনা মুদ্রা ইউয়ান। দুই দেশের এর বাণিজ্যে কি প্রভাব? এসব নিয়ে কথা বলেছেন বাংলাদেশের সেন্টার ফর পলিসি ডায়লোগ (সিপিডি) জ্যেষ্ঠ গবেষণা ফেলো এবং বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ তৌফিকুল ইসলাম খান ।ইন্টারভিউয়ে তিনি বলেন.
“বাংলাদেশ চায়নার অর্থনৈতিক সর্ম্পক বেশ পুরনো ও গভীর। দেশের যতগুলো আমদানীর উৎস আছে তার মধ্যে চায়না সর্বপ্রথম। চীন থেকে কাঁচামাল, মূলধনী যন্ত্রপাতি ও ভোগ্যপন্য আমদানি করা হয়।ফলে সেই দিক থেকে বাণিজ্য সর্ম্পকে চায়না খুব গুরুত্বপূর্ণ।বাংলাদেশি পণ্য চায়নার বাজারে সেই ভাবে আমরা রপ্তানী করতে পারিনা। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যদি দেখি যখন চায়না বাংলাদেশকে যখন বাণিজ্য সুবিধা দিল তখন আমরা রপ্তানী বেশ ভালো গতিতে বাড়াচ্ছি, যদিও দ্বিপাক্ষিক ভাবে বেশ বড় বাণিজ্য ঘাটতি আছে।