বিজনেস টাইম ১
চীন ও চীনের বাইরের দুনিয়ার ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনীতি-উন্নয়নের হালচাল নিয়ে নিয়মিত সাপ্তাহিক অনুষ্ঠান ‘বিজনেস টাইম’।
এই পর্বে থাকছে:
১. এবার মধ্যপ্রাচ্যে ব্যবসা সম্প্রসারণ করছে চীনের লজিস্টিক কম্পানিগুলো
২. চীন- বাংলাদেশ সর্ম্পকের বিশ্লেষণ
৩. বিশ্বের বৃহত্তম চলচ্চিত্র বাজারে এখনs চীন।
ভিন দেশে চীন:
এবার মধ্যপ্রাচ্যে ব্যবসা সম্প্রসারণ করছে চীনের লজিস্টিক কম্পানিগুলো
মধ্যপ্রাচ্যে ই-কমার্সের দ্রুত বিকাশের ফলে তৈরি হয়েছে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা। আর সেগুলোর ওপর ভিত্তি করে অঞ্চলটিতে ব্যবসার পরিধি সম্প্রসারণ করছে চীনের লজিস্টিক কম্পানিগুলো।
দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি পণ্য সরবরাহের ব্যয় কমাতে অনেক চীনা লজিস্টিক কম্পানি এসব দেশে তৈরি করেছে গুদামঘর তথা ওয়্যারহাউস। বর্তমানে চীনের বিদেশি গুদামের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২ হাজার ৪০০। এর ফলে বিদেশি গ্রাহকদের আরও দ্রুত সেবা দিতে পারছে চীনা কম্পানিগুলো।
সরকারি এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০২৩ সালে চীনের আন্তঃসীমান্ত ই-কমার্স আমদানি ও রপ্তানি হয়েছে ২ দশমিক ৩৮ ট্রিলিয়ন ইউয়ান, যা ২০২২ সালের তুলনায় ১৫ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে রপ্তানি বেড়েছে ১৯ দশমিক ৬ শতাংশ।
এসব ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলোর বিক্রয় নেটওয়ার্ক পৃথিবীর ২২০টিরও বেশি দেশ এবং অঞ্চলে ছড়িয়ে আছে।
একটি চীনা লজিস্টিক কম্পানির অপারেশন ম্যানেজার ইউন বো। দুবাই, সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) দুটি গুদাম রয়েছে তার। এই গুদামঘর থেকে প্রতিদিন সারা বিশ্ব থেকে আসা ৩০ হাজারেরও বেশি পার্সেল ব্যবস্থাপনা করা হয়। যার বেশিরভাগই আসে চীন থেকে। আনলোড, স্ক্যানিং, বাছাই এবং লোড করার পর পার্সেলগুলো মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকার দেশগুলোয় পাঠানো হয়।
তিনি জানান, চীনের ই-কমার্স শিল্প বর্তমানে ভালো অগ্রগতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। শিশু পণ্য, সেল ফোন, খুচরা যন্ত্রাংশ, আসবাবপত্র এবং এমনকি বিড়ালের খাবারসহ বিভিন্ন ধরণের পণ্য রপ্তানি করছে চীন। প্রথমদিকে শিশুদের পণ্যগুলোর বিক্রেতারা বাজার ধরতে না পারলেও এখন এগুলো মধ্যপ্রাচ্যের সবখানে পাওয়া যাচ্ছে। আগে এই পণ্যগুলোর প্যাকেজে শুধু চাইনিজ নির্দেশনা থাকলেও এখন প্যাকেজে আরবি সংস্করণও যুক্ত হয়েছে।