চলতি বাণিজ্যের ৫৩তম পর্ব
যদিও গত কয়েক দশকে চীনা ফিড উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান নিউ হোপের সহায়তায় এসব সমস্যার সমাধান করেছেন গাজীপুরের খামারিরা। প্রতিষ্ঠানটির মানসম্পন্ন ফিড, আধুনিক প্রযুক্তি, রোগ সংক্রান্ত সঠিক তথ্য এবং প্রতিরোধের ব্যবস্থা গ্রহণের কারণে লাভবান হচ্ছেন খামারিরা। ফলে সম্প্রসারিত হয়েছে পোল্ট্রি শিল্প। কর্মের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে লক্ষ লক্ষ মানুষের। একই সঙ্গে সস্তায় পুষ্টির যোগান দিয়ে দেশে মেধাবী এবং সুস্থ সবল প্রজন্ম সৃষ্টিতে অবদান রাখছে।
গাজীপুরে নিজেই পোল্ট্রি খামার পরিচালনা করছেন মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি জানান, তার খামারে ৪০ হাজার মুরগি রয়েছে। চীনা ফিড উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান নিউ হোপ থেকে মানসম্পন্ন ফিড এবং রোগ ব্যবস্থাপনার সঠিক তথ্য পেয়েছেন তিনি। এরপর গত এক দশকে রহমানের খামার সম্প্রসারিত হয়েছে ব্যাপক হারে।
পোল্ট্রি খামারের পাশাপাশি নিউ হোপের ডিলার হিসেবেও কাজ করছেন রহমান। এসব ফিড নিজ খামারের মুরগিকে খাওয়ানোর পাশাপাশি বিক্রিও করছেন। মাসে প্রায় ২০০ মেট্রিক টন পোল্ট্রি ফিড বিক্রি করছেন তিনি।
২০০৬ সালে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় গড়ে তোলা হয় নিউ হোপের উৎপাদন কারখানা। ফিড মিলটি বাংলাদেশে পোল্ট্রি খাদ্য উৎপাদন করছে ১৮ বছরেরও বেশি সময় ধরে।
৮ দশমিক ১১ একর জায়গায় নির্মিত এ প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন প্রায় তিন শতাধিক কর্মচারী ও শ্রমিক। চীনা ও বাংলাদেশিরা একই সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে কাজ করছেন এই প্রতিষ্ঠানে।
গাজীপুরের একাধিক খামারি জানান, নিউ হোপ তাদের স্বল্প মূল্যে মানসম্পন্ন পোল্ট্রি ফিড সরবরাহ করছে। তাদের কাছ থেকে স্বল্প মূল্যে ফিড নিয়ে ব্যবসা করে লাভবান হচ্ছেন তারা। এর ফলে বাড়ছে গ্রামীণ অর্থনীতিও।
বাংলাদেশের অনেক শিক্ষিত তরুণ এখন মুরগির খামারকে পেশা হিসেবে নিচ্ছেন এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হয়ে উঠছেন।
নিউ হোপের সেবা ও প্রশিক্ষণের আওতায় স্থানীয় খামারিরা বেশ দক্ষ হয়ে উঠছেন। ইতোমধ্যে আড়াই হাজার পোল্ট্রি খামারি নিয়েছেন প্রশিক্ষণ। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের সঙ্গে যৌথভাবে আরও ৭ হাজার ২০০ নারী খামারিকে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
রাশেদ কবির নামের একজন খামারি জানান, নিউ হোপের সার্ভিস টিমের সাহায্যে তারা আধুনিক খামার গড়ে তোলার বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এবং অনেক কিছু শিখেছেন।