চলতি বাণিজ্যের ৫৩তম পর্ব
চীন ও চীনের বাইরের দুনিয়ার ‘ব্যবসা-অর্থনীতি-বানিজ্যের হালচাল নিয়ে সাপ্তাহিক অনুষ্ঠান
‘চলতি বাণিজ্য’
চলতি বাণিজ্যের ৫৩তম পর্বে থাকছে:
১. শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রেখে এ বছরও ৩ কোটি গাড়ি বিক্রির প্রত্যাশা
২. থাইচৌ ন্যাশনাল মেডিকেল হাই-টেক জোনে কোটি ডলার বিনিয়োগ
৩. চীনা ফিড উৎপাদনকারী থেকে লাভবান বাংলাদেশের পোল্ট্রি খামারিরা
শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রেখে এ বছরও ৩ কোটি গাড়ি বিক্রির প্রত্যাশা
শুভ আনোয়ার, চীন আন্তর্জাতিক বেতার: বিশ্বে বিদ্যুৎ–চালিত গাড়ির বাজারে পরিচিত নাম টেসলা। সম্প্রতি গাড়ি বিক্রিতে সেই টেসলাকেও ছাড়িয়ে গেছে চীনের বিওয়াইডি বা ‘বিল্ড ইওর ড্রিম’। শুধু টেসলা নয়, গাড়ি রপ্তানিতে চীন এরই মধ্যে জাপানকেও ছাড়িয়ে গেছে, যা দেশটিকে পরিণত করেছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় গাড়ি রপ্তানিকারক দেশে। ২০২৩ সালে রেকর্ড পরিমাণ গাড়ির উৎপাদন এবং বিক্রি করেছে দেশটি।
বিশ্ব বাজারে তীব্র প্রতিযোগিতা সত্ত্বেও ২০২৩ সালে রেকর্ড পরিমাণ গাড়ির উৎপাদন ও বিক্রি করেছে চীনের খ্যাতনামা গাড়ি কোম্পানিগুলো। দেশটিতে থাকা আন্তর্জাতিক গাড়ির ব্র্যান্ডগুলোও দেখেছে বিক্রির জোয়ার। চলতি বছরও এ ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চায় প্রতিষ্ঠানগুলো।
গত বছর দেশটির গাড়ি নির্মাতারা ৩ কোটি ১ লাখ ৬০ হাজার গাড়ি তৈরি করেছে এবং এর মধ্যে ৩ কোটিরও বেশি ইউনিট বিক্রি করেছে, যা ২০২২ সালের তুলনায় ১২ শতাংশ বেশি। চায়না অ্যাসোসিয়েশন অব অটোমোবাইল ম্যানুফ্যাকচারার্স (সিএএম) এসব তথ্য জানিয়েছে।
সিএএমের ডেপুটি সেক্রেটারি-জেনারেল ছেন শিহুয়া বলেন, “২০২৩ সালের শুরুর দিকে বাজারে বিক্রি কম ছিল। কিন্তু বছরের দ্বিতীয়ার্ধে বিক্রি বাড়তে শুরু করে। এত বড় গাড়ির বাজার অন্য কোনও দেশ দেখেনি। অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এবং অনুকূল শিল্পনীতির হাত ধরে চলতি বছর চীনের গাড়ি শিল্প আরও গতি পাবে বলে আশা করছি।”
২০০৯ সাল থেকে চীন বিশ্বের বৃহত্তম গাড়ির বাজার। চলতি বছর ৩ কোটি ১০ লাখ গাড়ি বিক্রি হবে বলে আশাবাদী সিএএম। যা ২০২৩ সালের তুলনায় ৩ শতাংশ বেশি হবে। এর মধ্যে নিউ এনার্জি বা পরিবেশবান্ধব গাড়ি বিক্রি হবে ১ কোটি ১৫ লাখ ইউনিট। ২০২৩ সালে যা ছিল ৯৫ লাখ ইউনিট।