চলতি বাণিজ্যের ৪৭তম পর্ব
“আমরা বুঝতে এসেছি যে চীন সত্যিই প্রযুক্তি ও ডিজিটালাইজেশনে কোন কোন ক্ষেত্রে কতোটা উন্নতি করলো। আমরা চীনের নানা বিষয় দেখে অনেক কিছু শিখেছি। চীনের ব্লকচেইন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসহ সমস্ত কার্যক্রম খুবই গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে। বিশেষ করে সরবরাহ চেইনের ব্যবস্থাপনা ও সমন্বয়। কাজেই আমরা খুঁজছি কীভাবে আমরা আরও বেশি স্বয়ংক্রিয় উৎপাদন ব্যবস্থা চালু করতে পারি, আমাদের সরবরাহ ব্যবস্থাকে আরও নিখুঁত করতে পারি এবং আমাদের ব্যবসায় স্বয়ংক্রিয় বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ ঘটাতে পারি।“
সম্প্রতি চীনে শুরু হওয়া এক প্রদর্শনীতে চীনা সরবরাহ চেইনের কিছু নমুনা তুলে ধরা হয়। সারা বিশ্বে রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় দ্রুত সেবাদানকারী চতুর্থ বৃহত্তম স্বাধীন কোম্পানি টিএফআই। এর অধীনে আছে চীনের বার্গার কিং। চীনা এই প্রতিষ্ঠানের আছে অন্তত দেড় হাজার স্টোর। এই প্রদর্শনীতে দেখানো হয়, কোম্পানিটি কীভাবে পুরো দেশের শিল্পখাতে ভূমিকা পালন করছে এবং কতোটা সমন্বিতভাবে কাজ করছে। এমন উদাহরণ থেকে বেশ উৎসাহ পেয়েছেন তুরস্কের এই ব্যবসায়ী।
“আমার মনে হয় চীনা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে কাজ করার ব্যাপক সম্ভাবনা তুরস্কের প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে আছে। আমাদের অভিজ্ঞতা থেকে বুঝতে পারি চীনের মানুষ, চীনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও তুরস্কের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অনেকটা পরিপূরক হয়ে কাজ করতে পারে।“
চীনা শিল্প চেইন সম্পর্কে বলতে গিয়ে এই উদ্যোক্তা জানান, ডিজিটাল উদ্ভাবন ও বিকাশের নানা মাত্রিক ব্যবহার ও প্রয়োজনীয়তার কথা। তিনি জানান, চীন ও তুরস্ক, দুই দেশের বাজারের যে লুকানো সম্ভাবনা এখনো আছে তাকে কাজে লাগাতে পারলে উভয় দেশের অর্থনীতিতেই তার ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।
কোম্পানি প্রোফাইল:
চীনের সঙ্গে কৃষি পণ্যের রমরমা বাণিজ্য ব্রাজিলের
সাজিদ রাজু, চীন আন্তর্জাতিক বেতার: চীনের সঙ্গে কৃষি পণ্যের বাণিজ্য ক্রমেই বাড়ছে ব্রাজিলের। এর অন্যতম কারণ দুই দেশের দীর্ঘ দিনের বাণিজ্যিক সম্পর্ক, বোঝাপড়া ও ব্যবসার সুন্দর পরিবেশ। বিশেষ করে সরবরাহ চেইনের ক্রমোন্নয়ন ও দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার ধারাবাহিকতা দুই দেশের বাণিজ্যে যোগ করেছে এক ভিন্ন মাত্রা।
টানা ১৪ বছর ধরে ব্রাজিলের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার চীন। বিশেষ করে ল্যাটিন অ্যামেরিকান দেশগুলোর মধ্যে চীনের সঙ্গে ব্রাজিলের বাণিজ্যের পরিমাণ ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে। অন্যদিকে ২০২২ সালে দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্যের পরিমাণ ১৭১ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে।