চীন ও চীনের বাইরের দুনিয়ার ‘ব্যবসা-অর্থনীতি-বানিজ্যের হালচাল নিয়ে সাপ্তাহিক অনুষ্ঠান ‘চলতি বাণিজ্য’ ৩৬তম পর্ব
২০২২ সালে প্রথম মালয়েশিয়ায় কোম্পানি স্থাপন করে জিডাব্লিউএম। গ্রেটওয়াল মোটর সেলস মায়েশিয়া’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক চুই আনকি জানান, আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে মালয়েশিয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ বাজার। বিশেষ করে এই দেশে গাড়ির অনেক ক্রেতা। কিন্তু পরিবেশবান্ধব জ্বালানীচালিত গাড়ির কথা বিবেচনায় নিলে বলা যায় এদেশের বাজার এখন এক বিশাল নীল সমুদ্র। কাজেই এই সম্ভাবনা আমরা কাজে লাগানোর পরিকল্পনা করছি। এদিকে, গেল বছর চীনা গাড়ি তৈরির প্রতিষ্ঠান বিওয়াইডি আনুষ্ঠানিকভাবে মালয়েশিয়ায় তাদের উৎপাদন করা নতুন মডেলের গাড়ি ‘আট্টো-থ্রি’ উদ্বোধন করে।
মালয়েশিয়ান অটোমোটিভ অ্যাসোসিয়েশনের প্রকাশ করা তথ্যে দেখা যায়, ২০২২ সালে মালয়েশিয়ায় বিদ্যুৎচালিত গাড়ি বিক্রি হয় ২ হাজার ৬৩১টি। অথচ ২০২১ সালে বিদ্যুৎচালিত গাড়ি বিক্রির সংখ্যা ছিলো ২৭৪টি। অর্থাৎ ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে এ সংখ্যা বেড়েছে ৮৬০ শতাংশ।
কোম্পানি প্রোফাইল:
প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের জোরে চীনা বাজারে ফেরার চেষ্টা স্যামসাংয়ের
সাজিদ রাজু, চীন আন্তর্জাতিক বেতার: প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের সমন্বয় ঘটিয়ে চীনা বাজারে আবারো নিজেদের সরব উপস্থিতির জানান দেওয়া শুরু করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রযুক্তি কোম্পানি স্যামসাং। ক্রেতাদের রুচি ও চাহিদা অনুযায়ী একের পর এক অত্যাধুনিক ফোন উদ্ভাবন করে বাজারে ছাড়ছে এই কোম্পানিটি।
বাজার গবেষণা সংস্থা ক্যানালিসের প্রকাশ করা এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০২২ সালে চীনে ফোনসেট বেচাকেনা হয় ২৮৭ মিলিয়ন। এই সংখ্যা তার আগের বছর অর্থাৎ ২০২১ সালের চেয়ে ১৪ শতাংশ কম। পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৩ সালের পর এই প্রথম চীনে ফোন বিক্রির সংখ্যা ৩০০ মিলিয়নের নিচে নেমে যায়।
ক্রমবর্ধমান নিম্নগামী অবস্থা থেকে উঠে আসতে সম্প্রতি চীনের বাজারে ক্রমেই ব্যবসায়ীক কার্যক্রম বাড়াচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়ার এই প্রযুক্তি কোম্পানি। বিশেষ করে চীনের স্মার্টফোন বাজারের একটি বড় অংশ দখলে নেওয়ার লক্ষ্যে স্মার্টফোন উৎপাদনের হার ক্রমেই বাড়াচ্ছে স্যামসাং। আর সে কারণেই তরুণ প্রজন্মের ক্রেতাদের আকর্ষণ করতে তারা বাজারে আনছে অত্যাধুনিক সুবিধা সম্পন্ন ফোনসেট।
চলতি বছর স্যামসাং বাজারে আনে কোম্পানিটির সেরা মানের ৩টি ফ্ল্যাগশিপ ফোন গ্যালাক্সি এস-টুয়েন্টি থ্রি, গ্যালাক্সি এস-টুয়েন্টি থ্রি প্লাস এবং এস-টুয়েন্টি থ্রি আলট্রা। এসব ফোনে ব্যবহার করা হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন ক্যামেরা। এসব ফোনে আছে উচ্চ রেজুলেশনের ইমেজ সেন্সর ও উদ্ভাবনী পিক্সেল প্রযুক্তি। এর মাধ্যমে পেশাদার ও কাঙ্ক্ষিত মানের ছবি তোলার সুযোগ রাখা হয়। ফলে খুব দ্রুত জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে যায় স্যামসাং।