চলতি বাণিজ্যের ৩৫তম পর্ব
“বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা একটি ধারণা দিয়েছে যে ২০৩০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক বাণিজ্যের পরিমাণকে প্রায় ২ শতাংশ পরিমাণ বাড়িয়ে দেবে ডিজিটাল প্রযুক্তিখাত। ২০২২ সালে ডিজিটাল ব্যবস্থার মাধ্যমে আমদানি-রফতানি করা যায় এমন বাণিজ্যের পরিমাণ ছিলো ৩৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই প্রবৃদ্ধির পরিমাণ গেল বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৮ শতাংশ বেশি। একইসঙ্গে ডিজিটাল প্রযুক্তি রফতানিতে বিশ্বে ৫ম স্থানে রয়েছে।“
এক সংবাদ সম্মেলনে চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ওয়াং তোংতাং জানান, চীনের রফতানি করা জিডিটাল পণ্যের পরিমাণ ১২ দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে। তিনি বলেন, বর্তমানে এর আর্থিক মূল্য ১ দশমিক ৪২ ট্রিলিয়ন ইউয়ান।
“সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় অবশ্যই ডিজিটাল ব্যবসার পরিবেশ উন্নয়নে এবং বাণিজ্য ডিজিটাল করার কার্যক্রম নিয়ে অবশ্যই কাজ করবে। আরও উন্নত মানের ডিজিটাল বাণিজ্য ব্যবস্থার সংস্কার করতে নতুন নতুন নীতি প্রণোয়ন করা হবে, সহযোগিতা আরও জোরদার করা হবে এবং ডিজিটাল বাণিজ্যের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে।“
বিগ ডাটা, ক্লাউড কম্পিউটিং, ইন্টারনেট অব থিংস ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো খাতে চীনের কোম্পানিগুলো খুবই ভালো করছে বলেও জানায় মন্ত্রণালয়। বলা হয়, তথ্য-প্রযুক্তির সেবাভিত্তিক খাতগুলো দারুণ ভূমিকা পালন করছে।
মন্ত্রণালয় জানায়, সামনের দিনগুলোতে সেবাখাতের আউটসোর্সিংয়ের জন্য এখাতকে ডিজিটাইজেশনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। একইসঙ্গে এই খাতকে ঢেলে সাজাতে গবেষণা ও উন্নয়ন, ডিজআনি, পরীক্ষা-নীরিক্ষা, রক্ষণাবেক্ষণ এবং লিজিংয়ের বিষয়ে কাজ করবে কর্তৃপক্ষ।