‘চলতি বাণিজ্য’-২৭
ভিনদেশে চীন:
মিশরে বাস তৈরির যৌথ প্ল্যান্ট নির্মাণ করেছে চীনা কোম্পানি কিং লং
চীন আন্তর্জাতিক বেতার: নিজ দেশের বাইরে গিয়ে সম্প্রতি মিশরে বাস তৈরির যৌথ প্ল্যান্ট নির্মাণ করেছে চীনা কোম্পানি কিং লং। সংশ্লিষ্টরা প্রত্যাশা করছেন, আন্তর্জাতিক মানের বাস তৈরি করা সম্ভব হবে এখানে। আফ্রিকা, ইউরোপসহ পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলোর বাজার ধরার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে কোম্পানিটি।
আফ্রিকার দেশ মিশরে যৌথভাবে বাস তৈরির যৌথ প্রকল্প হাতে নিয়েছে চীন ও সৌদির দুটি কোম্পানি। এতে প্রধান অংশীদার হিসেবে কাজ করছে চীনের বাস প্রস্তুতকারক কোম্পানি কিং লং।
সম্প্রতি মিশরের নিউ সুয়েজ সিটিতে ১ লাখ ৬৪ হাজার বর্গ মিটার এলাকা জুড়ে ফ্যাক্টরিটি নির্মাণ করা হয়েছে। এই প্ল্যান্ট থেকে শিগগিরই আন্তর্জাতিক মানের বাস তৈরি করা হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। আর মিশরের স্থানীয় অটো মোবাইল ইন্ড্রাস্টি চাঙ্গা রাখতে সেখান থেকে বাস তৈরির প্রায় ৬০ শতাংশ যন্ত্রাংশ ব্যবহার করা হয়।
এক অনুষ্ঠানে সৌদি কোম্পানি ‘এটিএম এমআইএসআর’ এর চেয়ারম্যান হামেদ আল মুতাবাগানি বলেন, কারখানাটি এমনভাবে নির্মাণ করা হয়েছে যেন বছরে ৫০০টি বাস তৈরি করা যায়। মিশনের এই প্ল্যান্টে এটিএম কোম্পানি প্রায় ৩.৩ মিলিয়ন বিনিয়োগ করেছে।
সহযোগিতা চুক্তি অনুসারে, প্ল্যান্টটি সৌদি ভিত্তিক বাস ডিলার ন্যাশনাল ট্রেড কোম্পানিকে ৫১টি বাস সরবরাহ করবে।
হামেদ আল মুতাবাগানি জানান, পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলোর বাজার ধরার লক্ষ্য নিয়ে ভালো মানের বাস তৈরি করা হচ্ছে। এছাড়া আফ্রিকা ও ইউরোপের মার্কেটগুলোতে পৌঁছানোর জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
প্রতিবেদন: হাবিবুর রহমান অভি
সম্পাদনা: সাজিদ রাজু
কোম্পানি প্রোফাইল:
চীনে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে ইতালীয় ওষুধ কোম্পানি
সাজিদ রাজু, চীন আন্তর্জাতিক বেতার: চীন সরকারের নেওয়া উন্মুক্তকরণ নীতি ও নানাবিধ সুবিধা ঘোষণার ফলে চীনের বাজারে বিনিয়োগ করছে ইতালির কোম্পানিগুলো। বিশেষ করে ওষুধ ও স্বাস্থ্যসেবা পণ্য প্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘ মেয়াদে বিনিয়োগ করছে এখানে। এমনই একটি প্রতিষ্ঠান ব্রাক্কো সিনে ফার্মাসিউটিক্যালস। কোম্পানিটি বলছে, চীনে উৎপন্ন কাঁচামাল ব্যবহার করেই চীনের বাজারে নিজেদের অবস্থান জানান দিতে চায় তারা। শুনুন আমার তৈরি করা আরও একটি প্রতিবেদন।
চীন সরকারের নেওয়া নানা উদ্যোগের ফলে ক্রমেই বাড়ছে উন্মুক্তকরণ। উন্নয়ন হচ্ছে ব্যবসার পরিবেশের, চীনের বাজারে বিদেশি কোম্পানির ফলে আরও বেশি বিদেশি কোম্পানি আসছে চীনের বাজার ধরতে। বিশেষ করে ইউরোপের দেশ ইতালির বেশ কিছু কোম্পানি মোটা অঙ্কের বিনিয়োগ নিয় আসছে চীনে।