‘চলতি বাণিজ্য’-২৭
এক্সিবিশন হলে স্থাপন করা নানারকম ম্যাপ, রেখাচিত্র ও ছবিতে দেখানো হয় সিনচিয়াং থেকে রাশিয়া, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের দিকে চলে যাওয়া ৩টি প্রধানে রুটের সিল্করোড।
সিল্ক রুটের ওয়েস্টার্ন রোড় সিনচিয়াংয়ের আলাশাঙ্কোউ বন্দর দিয়ে কাযাখস্তান হয়ে রাশিয়া ও বেলারুশ হয়ে পোল্যান্ড পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। দ্বিতীয়টি রুটটি আফগানিস্তান-বুলগেরিয়া হয়ে পৌঁছে গেছে ইতালি পর্যন্ত। অন্যদিকে তৃতীয় রুটটি আফগানিস্তান-উজবেকিস্তান হয়ে ইরান পর্যন্ত সংযোগ স্থাপন করেছে।
বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, উরুমচির স্থল বন্দর মূলত একটি কেন্দ্র ও ৫টি বিশেষ অঞ্চল নিয়ে গঠিত। এর মধ্যে বিশেষভাবে আছে চায়না-ইউরোপ রেলওয়ে এক্সপ্রেস অ্যাসেম্বলি সেন্টার, ম্যানুফ্যাকচারিং এরিয়া, টেক্সাইল অ্যান্ড গার্মেন্ট ট্রেড এরিয়া, সার্ভিস এরিয়া এবং লজিস্টিক্স ও বন্ডেড এরিয়া।
পরিসংখ্যান বলছে, গেল ২০২২ সালে এসব রুটে চলাচল করেছে ১৪৪০টি ট্রেন। এই রুটগুলো হয়ে মহাসড়ক ও রেলপথে নানা রকমের পণ্য আমদানি-রফতানি হয়। প্রধান আমদানি পণ্যের মধ্যে আছে পেলেট, আয়রন, অ্যালুমিনিয়াম ও কপার পাউডারসহ নানা রকম খনিজ পণ্য, রান্নার কয়লা, কাঠ, পাল্প, খাদ্যশষ্য ও তেল।
অন্যদিকে চীন থেকে এসব দেশ ও অঞ্চলে রফতানি হয় স্টিল ও রাসায়নিকসহ নানা ধরনের শিল্পের কাঁচামাল, টমেটো পেস্ট ও শুকনো ফল। এর পাশাপাশি চীনের বিভিন্ন অংশ থেকে আসা টেক্সটাইল ও তৈরি পোশাক, বাড়ি তৈরির উপকরণ, ইলেক্ট্রনিক পণ্য ও অটো পার্টস।
সিনচিয়াংজুড়ে চীন সরকারে নানা উন্নয়ন কার্যক্রম ও সুবিধা বিবেচনা করে এখানে বিনিয়োগও আসছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে। ফলে চীন সীমান্তের প্রান্তিক এলাকা হলেও এই স্থলবন্দরকে ঘিরে বৈশ্বিক সংযোগের কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠেছে সিনচিয়াং।