‘চলতি বাণিজ্য’-২৭
চীন ও চীনের বাইরের দুনিয়ার ‘ব্যবসা-অর্থনীতি-বানিজ্যের হালচাল নিয়ে সাপ্তাহিক অনুষ্ঠান
‘চলতি বাণিজ্য’
চলতি বাণিজ্যের ২৭তম পর্বে থাকছে:
১. সিনচিয়াং স্থলবন্দর: মধ্যএশিয়া ও ইউরোপের সঙ্গে চীনা সংযোগের কেন্দ্রস্থল
২. মিশরে বাস তৈরির যৌথ প্ল্যান্ট নির্মাণ করেছে চীনা কোম্পানি কিং লং
৩. চীনে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে ইতালীয় ওষুধ কোম্পানি
সিনচিয়াং স্থলবন্দর: মধ্যএশিয়া ও ইউরোপের সঙ্গে চীনা সংযোগের কেন্দ্রস্থল
সাজিদ রাজু, চীন আন্তর্জাতিক বেতার: চীনের প্রস্তাব করা বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগের কেন্দ্রভূমি হলো সিনচিয়াংয়ের রাজধানী উরুমচি। এখানকার স্থলবন্দরকে ঘিরে আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও রাশিয়া হয়ে বিশ্বের প্রায় ২ ডজন দেশের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করেছে চীন। আর এই বন্দর দিয়েই বছরে আমদানি-রফতানি হচ্ছে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের পণ্য। চীনের উইগুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল সিনচিয়াং ঘুরে এসে বিস্তারিত দেখুন আমার তৈরি করা প্রতিবেদনে।
ইরান, আজারবাইজান বা কাজাখস্তানের পাহাড়ি পথ বেয়ে কিংবা বিশ্বের সবচেয়ে বড় জলাশয় কাস্পিয়ান সাগর পারে হয়ে চীনের সঙ্গে যোগাযোগকে এক সময় ভাবা হতো চাঁদে মানুষ পাঠানোর চেয়েও কঠিন। তবে এই কঠিন কাজই এখন হরহামেশা হচ্ছে চীনের ইউগুর স্বায়ত্তশাসিত এলাকা সিনচিয়াংয়ে।
এখানকার বন্দরগুলো এখন রাত-দিন ২৪ঘণ্টা ব্যস্ত। সারি সারি ট্রাক আসছে, যাচ্ছে। মালামাল বোঝাই করে আমদানি ও রফতানি পণ্য নিয়ে ছুটে যাচ্ছে দূর-দূরান্তের গন্তব্যে। আবার রেলপথে মালবাহী ট্রেনের আসা যাওয়া কেবল যোগাযোগ সহজ করেনি, কমিয়েছে খরচ, বাড়িয়েছে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি।
সিনচিয়াংয়ের রাজধানী শহর উরুমচির নর্থ চিয়াংহু রোড ধরে কিছুদূর এগোলেই চোখে পড়বে এক বিশাল স্থাপনা। উরুমচি ইন্টারন্যাশনাল ল্যান্ডপোর্ট এরিয়া। এটাই মূলত সিনচিয়াং হয়ে চীনের সঙ্গে মধ্য ও পশ্চিম এশিয়া এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের প্রধান কেন্দ্র।
২০১৩ সালে চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং এই বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগ প্রস্তাব করার পরই ঘটতে শুরু করে এই পরিবর্তন। ৬৭ বর্গ কিলোমিটার এলাকা ঘিরে তৈরি হয় এই পরিকল্পিত বন্দর এলাকা। আর সিনচিয়াং হয়ে ওঠে চীনা সিল্করোড়ের এক কৌশলগত এলাকা ।