চলতি বাণিজ্যের ২৩তম পর্বে
“৩ দশক আগে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য উন্মুক্ত করার পরই কেবল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নয় বরং পুরো বিশ্বের অন্যান্য দেশের জন্যও সবচেয়ে বড় উৎপাদন হাবে পরিণত হয় চীন। প্রবৃদ্ধির পুরোটা সময় জুড়েই কিছু কিছু বিষয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে এর মধ্যে অন্যতম হলো বাণিজ্য ঘাটতি। বিশেষ করে চীনের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ বছরে ৩৫০ বিলিয়ন ডলারের বেশি হয়ে যায়। আর এটাই এমন কঠিন পরিস্থিতির তৈরি করেছে।“
সম্প্রতি চীন সফর করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। এ সময় উভয় দেশের মৌলিক ও গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এই আলোচনা ও সফর আলোচনার মাধ্যমে যে কোন সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে দুই দেশের ইচ্ছা ও আগ্রহ প্রকাশ পায় বলে মত চীনের রেনমিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর অ্যামেরিকান স্টাডিজের উপ-পরিচালক তিয়াও তামিংয়ের।
তিয়াও তামিং, শিক্ষক, রেনমিন ইউনিভার্সিটি
“এই বৈঠকটি ভবিষ্যৎ সম্পর্ক আরও স্বাভাবিক ও স্থায়ী করার ব্যাপারে দুই দেশের মনোভাবের একটি পরিস্কার ‘রোড ম্যাপ’ এর ধারনা দেয়। এই রোড ম্যাপের মধ্যে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনামূলক নিয়ম-নীতি আছে। পারস্পরিক শ্রদ্ধা, শান্তপূর্ণ সহাবস্থান ও উভয়ের জন্য লাভজনক সহযোগিতাসহ বিভিন্ন নামে এ কথাগুলোই প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং বিভিন্ন উপলক্ষ্যে বলে আসছেন। আমার মনে হয় এটাই চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এগিয়ে যাওয়ার সহজ পথ।“
এ দুই বিশ্লেষক মনে করেন, সবচেয়ে বড় ভোক্তা অর্থনীতির দেশ হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ হিসেবে চীন উভয়ের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের উচিত পুরো বিশ্বের জন্য যৌক্তিক, ন্যয়সঙ্গত ও শান্তিপূর্ণ ভূমিকা পালন করা।