চলতি বাণিজ্যের ২৩তম পর্বে
চলতি বাণিজ্যের ২৩তম পর্বে থাকছে:
১. চীন-মার্কিন বাণিজ্য ঘাটতি: কূটনৈতিক সংকট নিরসন হতে পারে আলোচনায়
২. রেকর্ড মার্কিন ক্রয়াদেশ পেয়েছে চীনা কোম্পানি সানি
৩. চীনকে ১৬০টি বিমান সরবরাহ করবে এয়ারবাস
চীন-মার্কিন বাণিজ্য ঘাটতি: কূটনৈতিক সংকট নিরসন হতে পারে আলোচনায়
সাজিদ রাজু, চীন আন্তর্জাতিক বেতার: পরস্পর নির্ভরশীল ও নানা ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিপুল সম্ভাবনা থাকলেও ভূ-রাজনৈতিক বিরোধ ও বাণিজ্য ঘাটতিজনিত কারণে ক্রমেই বাড়ছে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার দূরত্ব। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার অর্থনীতিবিদ নিক ভাইয়াস এমনটাই মনে করেন। তার মতে, মতবিরোধ এড়িয়ে সংকট উত্তরণের একমাত্র পথ আলোচনার মাধ্যমে বিদ্যমান সমস্যা সমাধান করা। অন্যদিকে চীন-মার্কিন সম্পর্ক স্বাভাবিক করা উভয় দেশের স্বার্থের জন্যই জরুরি বলে মত দিয়েছেন চীনর রেনমিন ইউনিভার্সিটির শিক্ষক তিয়াও তামিং। তাদের মতে উভয় পক্ষেরই উচিত আচরণে সংযত হওয়া, মূল্যবোধ বজায় রাখা ও একই অবস্থানে থেকে ভূমিকা পালন করা।
২০ শতকের ৭০ এর দশকে চীনের অর্থনীতি সারা বিশ্বের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার পর থেকেই চীন ও যুক্তরাষ্ট্র পরস্পর বাণিজ্যিক অংশীদার হয়ে গেছে। এমনকি চীন হলো বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার। একইসঙ্গে গেল দুই দশক ধরে আমেরিকায় বিভিন্ন রকম গুরুত্বপূর্ণ ভোগ্যপণ্য রফতানি করে চীন।
তবে সম্প্রতি বাণিজ্যিক ও ভূ-রাজনৈতিক দিক দিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে মতপার্থক্য অনেক। এই মতপার্থক্য প্রভাব বিস্তার করেছে উভয় দেশের স্বাভাবিক কূটনৈতিক সম্পর্কেও। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার অর্থনীতিবিদ নিক ভাইয়াসের মতে চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক বর্তমানে খুবই সংকটাপন্ন পর্যায়ে আছে। এর কারণও ব্যাখ্যা করেন এই বিশ্লেষক।
নিক ভাইয়াস, অর্থনীতিবিদ, ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া