চীন ও চীনের বাইরের দুনিয়ার ব্যবসা-অর্থনীতি-বাণিজ্যের হালচাল নিয়ে সাপ্তাহিক আয়োজন ‘চলতি বাণিজ্য’
গ্রুপের অধীন গঠন করা এসব কোম্পানির মূল লক্ষ্য বিশ্বের দ্রুতগতির রেলসেবা দেওয়া। এক্ষেত্রে ট্রেনের ইঞ্জিন, রেল লাইনের নানা সরঞ্জাম ও রেলপথ নির্মাণে অর্থনৈতিক সহযোগিতা দেওয়ার একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবেও কাজ করে এই কোম্পানি। বিশেষ করে বর্তমান সময়ে আধুনিক ও উচ্চ গতির ট্রেন, উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ট্রেনের ইঞ্জিন, মালবাহী ট্রেন এবং শহরাঞ্চলে যাত্রী পরিবহনের উপযোগী ট্রেন নির্মাণ ও সরবরাহ করাও কোম্পানির প্রধান লক্ষ্য।
এরই অংশ হিসেবে সম্প্রতি তুরস্কে চালু হলো চীনের তৈরি চালকবিহীন ট্রেন। ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার গতির এই ট্রেন চালুর মাধ্যমে তুরস্কের মেট্রোরেল প্রকল্পে ঘটলো নতুন সংযোজন। দেশটির গুরুত্বপূর্ণ শহর ইস্তাম্বুল থেকে নতুন বিমানবন্দর পর্যন্ত ৩৪ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে সময় লাগবে মাত্র ২৪ মিনিট। তুরস্কের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানায় প্রতিদিন ৮ লাখ যাত্রী পরিবহন করতে পারবে এই ট্রেন। তুরস্কের স্থানীয় সংস্কৃতি অনুসরণ করে সাজানো হয় ট্রেনটির বাইরের অংশ। প্রতি ৪টি করে সাবওয়ে গাড়ি বহন করতে পারবে প্রায় ১১শ’ যাত্রী।
চীনের বাইরের কোন দেশে চালকবিহীন মেট্রো প্রকল্প এটাই প্রথম সিআরআরসি ছুছৌ লোকোমোটিভ কোম্পানি লিমিটেড বা সিআরআরসি জেল্কের। কোম্পানিটি বলছে, ২০২০ সালে তুরস্কের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্টের সঙ্গে চুক্তি সই করে তারা। চুক্তি অনুযায়ী তুরস্কের মেট্রোরেল প্রকল্পে মোট ১৭৬টি সাবওয়ে গাড়ি সরবরাহ করবে তারা। এরইমধ্যে ৪০টি সাবওয়ে গাড়ি হস্তান্তর করা হয়েছে জানিয়ে কোম্পানিটির তুর্কি শাখার ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা হালুক ওগুজ জানান, বাকি ১৩৬টি সাবওয়ে গাড়ি নির্মাণের কাজ চলছে তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায়
গেল এক দশক ধরে তুরস্কের মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজ করছে সিআরআরসি জেল্ক। সংস্থাটি জানায়, এর আগেও তুরস্কে ৪শ’টি মেট্রোরেলের গাড়ি সরবরাহ করেছে তারা। বিশেষ করে তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারা, ইস্তাম্বুল ও ইজমির শহরের মেট্রো যোগাযোগের অংশ হয়ে কাজ করছে তারা। সিআরআরসি জেল্ক এর পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান চৌ ছিংহে জানান, আগামীতে তুরস্কের সঙ্গে সহযোগিতা আরো বাড়বে এবং নতুন নতুন বাণিজ্য সম্ভাবনা তৈরি হবে।