চীন ও চীনের বাইরের দুনিয়ার ব্যবসা-অর্থনীতি-বাণিজ্যের হালচাল নিয়ে সাপ্তাহিক আয়োজন ‘চলতি বাণিজ্য’
“নতুন বছরের শুরুতে প্রেসিডেন্ট সি চিনপিংয়ের ভিডিও কল পেয়ে আমাদের মনে হয়েছে, সরকার আমাদের ব্যাপারে অনেক বেশি আন্তরিক। ভিডিও কলের সময়ে তিনি প্রথমেই যেটি বলেছেন তা হলো খাদ্য মানুষের সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমি তাজা ভুট্টা বিক্রি করি। প্রেসিডেন্ট সি আমাদের খবর নিয়েছেন, আমরা কি উৎপাদন করি তা জানতে চেয়েছেন। আমাদের এখন অনেক ভালো লাগছে।“
স্থানীয়দের যেন পণ্য সংকটে পড়তে না হয় সে জন্য প্রতিদিনই সাধারণ প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি বাজারে আসছে জানিয়ে ব্যবসায়ীরা বলছেন, চলতি বছর কয়েক হাজার পণ্যের সরবরাহ বাড়ানোর কাজ করছে সরকার ও বাজার কর্তৃপক্ষ।
ভিনদেশে চীন:
চীনা পর্যটকদের আগমনে চাঙ্গা আসিয়ান দেশগুলোর পর্যটনখাত
চলকি বছরের বসন্ত উৎসবে দেশের বাইরে ঘুরতে যাচ্ছেন চীনা পর্যটকরা। বিশেষ করে চীনের সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর চলতি বছর বিশ্বের ২০টি দেশকে পর্যটনের বাছাই করেছে চীন ও চীনের পর্যটকরা। তাদের পছন্দের তালিকায় আছে আসিয়ানভুক্ত দেশগুলো। তাইতো এসব দেশের পর্যটন খাত বেশ চাঙ্গা হয়েছে চীনা পর্যটকদের আনাগোনায়।
চীনা পর্যটকদের গন্তব্য দেশগুলোর মধ্যে ফিলিপিন্স, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, কম্বোডিয়া, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, লাওস-সহ আছে শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপের নামও। বহু মানুষ উৎসবের ছুটিতে বেছে নিয়েছেন এসব দেশ ঘুরে বেড়ানোর কর্মসূচি। ফলে কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে বহুদিন ধরেই অনেকটা নিষ্ক্রিয় এসব দেশের পর্যটন আবারো জেগে উঠেছে।
চীনা পর্যটকদের পছন্দের গন্তব্য হিসেবে আছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিশর, কেনিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, রাশিয়া, সুইজারল্যান্ড, হাঙ্গেরি, নিউজিল্যান্ড, আর্জেন্টিনা, কিউবা ও ফিজিও। এতোদিন আন্তর্জাতিক যোগা যোগে বিধিনিষেধ থাকায় প্রায়ই বন্ধই ছিলো চীনের বহির্মুখী পর্যটন। এবার সেসব বিধিনিষেধ শিথিল করায় এখাতে লেগেছে পরিবর্তনের হাওয়া।