বাংলা

মেড ইন চায়না : পর্ব-২৩: অ্যাবাকাস

CMGPublished: 2024-11-02 17:39:36
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

হাজার বছর আগের কাগজ, চা এবং নুডলস থেকে শুরু করে আজকের প্যাসেঞ্জার ড্রোন, কিংবা নতুন জ্বালানির গাড়ি। সুপ্রাচীনকাল থেকেই বিশ্বসভ্যতা এগিয়ে চলেছে চীনের শক্তিশালী আবিষ্কারের হাত ধরে। নানা সময়ে দারুণ সব আবিষ্কার করে আধুনিক সভ্যতার ভিত গড়ে দিয়েছে চীন। আর সেই সব আবিষ্কার নিয়ে আমাদের নিয়মিত আয়োজন মেড ইন চায়না।

মেড ইন চায়নার ২৩তম পর্বে সাথে আছি আমি ফয়সল আবদুল্লাহ...আজকের পর্বে থাকছে চীনের আবিষ্কার অ্যাবাকাসের কথা।

মানবসভ্যতার ইতিহাসে চলছে কম্পিউটারের যুগ। সহজ কথায় বলতে গেলে এটা হলো গণনা করার যুগ। কারণ কম্পিউটার শব্দটার মানেই হলো এমন এক যন্ত্র যার কাজ গণনা করা। যে কম্পিউটার যত দ্রুত গণনা করে, সেট তত শক্তিশালী। তবে আজ থেকে কয়েক হাজার বছর আগেও ছিল গণনার যন্ত্র। যাকে বলা যেতে পারে কম্পিউটারের পূর্বপুরুষ। শুরুর দিকে মেসোপটেমীয় সভ্যতার আমলে গণনার একটা ব্যবস্থা থাকলেও সে যন্ত্রখানার আধুনিক ও কার্যকর রূপ আসে চীন থেকে। প্রায় বাইশ শ বছর আগে চীনা সেই যন্ত্রটার নাম ছিল সুয়ানপান। যার মানে হলো গণনা করার ট্রে। সেই সুয়ানপানকেই এখন বিশ্ব চেনে অ্যাবাকাস নামে। অর্থাৎ যাকে বলা হয় কম্পিউটারের আদিপুরুষ, সেই অ্যাবাকাস কিন্তু পুরোপুরি মেড ইন চায়না।

পেশাদার কাজে অ্যাবাকাসের প্রচলন শুরু হয় মূলত হান রাজবংশের সময়। বর্তমান শানতোং প্রদেশে জন্ম নেন প্রাচীন চীনের গণিতবিদ সু ইউয়ে। ১৯০ খ্রিষ্টাব্দে অ্যাবাকাসের নকশা ও ব্যবহার নিয়ে বিস্তারিত লেখা পাওয়া যায় তার একটি বইতে। ওই সময় ৮ ইঞ্চি আকারের বহনযোগ্য সুয়ানপান তৈরি করা হতো। যাকে কিনা তুলনা করা যায় এখনকার ক্যালকুলেটরের সঙ্গে।

এবার জানা যাক চীনের অ্যাবাকাস বা সুয়ানপানের ব্যবহার সম্পর্কে।

একটি বাক্সে খাড়া করে সাজানো থাকে সাতটি দণ্ড ও সেগুলোর মাঝে লাগানো থাকে গোলাকার চাকতি। দেখতে শুনতে বেশ সরল হলেও এর ব্যবহার করতে হলে নিতে হবে প্রশিক্ষণ। প্রাচীন চীনের হিসাবরক্ষকদেরও শিখতে হয়েছিল একক, দশক ও শতকের মতো বিভিন্ন অংকের অবস্থানের মান ও গণনা প্রক্রিয়া।

1234全文 4 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn