মেড ইন চায়না: পর্ব-৮: ছুচু খেলা
হাজার বছর আগের কাগজ ও চা থেকে শুরু করে আজকের প্যাসেঞ্জার ড্রোন, কিংবা নতুন জ্বালানির গাড়ি। সুপ্রাচীনকাল থেকেই বিশ্বসভ্যতা এগিয়ে চলেছে চীনের শক্তিশালী আবিষ্কারের হাত ধরে। নানা সময়ে দারুণ সব আবিষ্কার করে আধুনিক সভ্যতার ভিত গড়ে দিয়েছে চীন। আর সেই সব আবিষ্কার নিয়ে আমাদের নিয়মিত আয়োজন মেড ইন চায়না।
মেড ইন চায়নার অষ্টম পর্বে সাথে আছি আমি ফয়সল আবদুল্লাহ... আজকের পর্বে থাকছে চীনের আবিষ্কার বল খেলার কথা।
এখন বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা ফুটবল। হাওয়াভর্তি গোলগাল একটা বস্তুর পেছনে ২২ জন খেলোয়াড়ের ছুটে চলার এ খেলা নিয়ে মাতামাতির শেষ নেই। নানা সময়ে নানা নিয়মকানুনের হাত ধরে আজকের ফুটবল পেয়েছে তার আধুনিক রূপ। তাই ফুটবলের আবিষ্কার কারা করলো তা নিয়ে নানা মুনির আছে নানা মত। তবে আজ থেকে প্রায় আড়াই হাজার বছর আগেই চীনের হান রাজবংশের সময় পাখির পালকভর্তি গোলাকার বলকে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে ছুঁড়ে ফেলার একটা খেলা ছিল। যার নাম ছিল ছুচু। ওই সময় এমন নিয়মও ছিল যে, বলটিকে পা দিয়েই খেলতে হবে, কিছুতেই হাত দিয়ে ধরা যাবে না। এমনকি এ খেলায় ছিল একটা গোলপোস্টও। অর্থাৎ আধুনিক ফুটবল খেলার ভিত্তিটা রচনা হয়েছিল ওই হান রাজবংশের আমলে, ছুচুর হাত ধরে। পা দিয়ে বল ছোড়াছুড়ির ছুচু খেলাটাকে বিশ্বের প্রাচীনতম বল খেলার স্বীকৃতি দিয়েছে স্বয়ং ফিফা। সুতরাং এটা বলাই যায়, ফুটবলের পূর্বপুরুষ আপাদমস্তক মেড ইন চায়না।
চীনে শুরুর দিকে ছুচু খেলাটি সবার জন্য ছিল না। এটি খেলা হতো শরীরচর্চার অংশ হিসেবে। ওই সময় চীনের সৈন্যসামন্তরাই ছুচু খেলতো বেশি। পরে তাদের মধ্যে খেলাটি এত বেশি জনপ্রিয়তা পায় যে ধীরে ধীরে রাজদরবার ও উচ্চপদস্থ লোকেরাও খেলতে শুরু করে ছুচু।
চলুন শোনা যাক ছুচু নিয়ে কয়েকটি তথ্য
বলা হয়ে থাকে হান সম্রাট উ তি নিজেও খেলেছেন ছুচু তথা বল খেলা। তার সময়ই ছুচু খেলার কিছু নিয়ম তৈরি করা হয়। এমনকি রাজ প্রাসাদের ভেতর ছুচু খেলার জন্য নির্ধারিত মাঠও ছিল।