মেড ইন চায়না পর্ব-২
এবার জানা যাক ইহাংয়ের প্যাসেঞ্জার ড্রোনের কিছু কারিগরি তথ্য
· ইহাং ২১৬ এস মডেলের যাত্রীবাহী ড্রোনটিতে আছে দুটি আসন এবং ১৬টি প্রপেলারযুক্ত কোঅ্যাক্সিয়াল ডাবল-বেইলড ডিজাইন।
· ড্রোনটি ২০১৮ সালের জুলাইয়ের মধ্যে প্রায় এক হাজার পরীক্ষামূলক মনুষ্যবাহী ফ্লাইট সম্পন্ন করেছে।
· ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৩০ কিলোমিটার বেড়ে উড়তে পারবে ইহাং ২১৬ এস।
· ড্রোনটি ২৫ মিনিটে ৩০ কিলোমিটার পাড়ি দিতে পারছে।
· ড্রোনটির ব্যাটারি সম্পূর্ণ চার্জ হতে সময় নেবে মাত্র দুই ঘণ্টা।
শেষ করছি চীনের প্যাসেঞ্জার ড্রোনের ব্যবসাপাতির তথ্য জানিয়ে
স্বল্প উচ্চতার আকাশে এ ধরনের যানকে ঘিরে কুয়াংচৌতে এখন এক ধরনের সরবরাহ চেইন শিল্প গড়ে উঠেছে। গতবছরের শেষে যে বাজারের বিস্তৃতি ছিল প্রায় ৫০০ বিলিয়ন ইউয়ান।
২০৩০ সালের মধ্যে চীনে যাত্রীবাহী প্যাসেঞ্জারের বাজার দাঁড়াবে ২ ট্রিলিয়ন ইউয়ানে।
অচিরেই দেখা যাবে, চীনের দেখানো স্বল্প উচ্চতার এই আকাশ অর্থনীতির হাত ধরেই বদলে যাবে গোটা বিশ্বের মানুষের জীবন, যোগাযোগ ও নগর ব্যবস্থাপনার চালচিত্র।
সুপ্রিয় শ্রোতা আজকের মেড ইন চায়না ছিল এ পর্যন্তই। আগামী পর্বে আবার আসবো চীনের সাড়া জাগানো আরেকটি আবিষ্কারের গল্প নিয়ে। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।