বাংলা

মেড ইন চায়না পর্ব-২

CMGPublished: 2024-06-08 17:53:06
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

প্রতিষ্ঠানটির ভাইস প্রেসিডেন্ট হ্য থিয়ানসিন সিসিটিভিকে বলেছেন, ইএইচ-২১৬এস হলো আকাশ-ট্যাক্সির ভবিষ্যৎ। অর্থাৎ নিকট ভবিষ্যতে মানুষ স্বল্প উচ্চতার আকাশেই ড্রোন ভাড়া নিয়ে উড়ে বেড়াবে।

ইএইচ ২১৬ এর ওজন মাত্র ৪৩০ কেজি। আকাশযান হিসেবে বেশ হালকাই বলা যায় এটাকে।

ওজন কমানোর জন্য প্যাসেঞ্জার ড্রোনটির পেছনের অংশ তৈরি করা হয়েছে কার্বন ফাইবার দিয়ে। যার নকশা পুরোপুরি চীনের তৈরি।

অনুষ্ঠানের এই ফাঁকে জেনে নেওয়া যাক চীনের যাত্রীবাহী ড্রোন নিয়ে কিছু তথ্য

· ব্যস্ত শহরে ৩০ কিলোমিটার পাড়ি দিতে যেখানে আধা ঘণ্টা লেগে যায়, সেখানে যাত্রীবাহী ড্রোনের লাগবে বড়জোর দশ-বারো মিনিট।

· ইহাংয়ের তৈরি ইএইচ-২১৬ এস ড্রোনটি অপেক্ষাকৃত কম জায়গা নেয়। তবে ড্রোনটার ভেতরে বসলে মনে হবে এটা বেশ বড়সড়। এমনকি চাইলে পা ছড়িয়েও বসতে পারবে যে কেউ।

· ইহাংয়ের ড্রোনগুলো ইতোমধ্যেই ইউরোপ, আমেরিকা ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশে মোট ৪২ হাজার সফল ফ্লাইট সম্পন্ন করেছে।

· ড্রোনটির শব্দদূষণ কমানো ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। তবে কারিগরি উন্নয়নের পর গতানুগতিক এয়ারক্রাফটগুলোর তুলনায় এতে শব্দ বেশ কম হয়।

· এ ধরনের আকাশযান বড় বড় ভবনের অগ্নিনির্বাপণেও চমৎকার কাজে আসবে। আবার যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে এ ধরনের প্যাসেঞ্জার ড্রোনে করে বয়ে নেওয়া যাবে আড়াইশ কেজি পর্যন্ত সরঞ্জাম।

এবার আসা যাক প্যাসেঞ্জার ড্রোনের নিরাপত্তার প্রসঙ্গে

আকাশে ড্রোন ওড়ানো আর সেই ড্রোনে নিজেই উড়ে বেড়ানোর মধ্যে তফাৎ আছে আকাশ-পাতাল। মাঝপথে ব্যাটারি ফুরিয়ে গেলে কী হবে? কোনো যন্ত্রাংশ উল্টোপাল্টা আচরণ করলেই বা কী ঘটবে। এ সবই আগে থেকে ভেবে রেখেছে ই হাং। আর তাই বিশ্বের প্রথম যাত্রীবাহী ড্রোনে আছে একগাদা নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ইহাংয়ের ওয়েবসাইটেই জানা গেল এ ব্যবস্থা সম্পর্কে।

জিপিএস মোডে থাকা ড্রোনটি লো ব্যাটারির সংকেত পাওয়া মাত্রই স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফিরে আসবে এবং ব্যাটারি কম হলে যাত্রা শুরুর স্থানেই থাকবে এবং ধীরে ধীরে নেমে আসবে। মোটকথা, ব্যাটারির চার্জ কতটুকু বাকি আছে সেটা দেখে সেই অনুযায়ী জিপিএস সিস্টেমের সংকেত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে ড্রোন।

首页上一页1234全文 4 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn