চীনের সংস্কৃতি, চীনের ঐতিহ্য-৫২
এমন আয়োজনে অংশ নিয়ে ভীষণ উচ্ছ্বসিত চীনা শিল্পীরা।
‘আমি মনে করি, বাংলাদেশে সাংস্কৃতিক পরিবেশের গভীর আমেজ আছে। এখানকার আবহাওয়া বেশ ভালো। আমি বাঙালীদের মুখের হাসি পছন্দ করেছি। কারণ তা দেখে আন্তরিকতা প্রতিফলিত হয়।’
তাদের কথায় উঠে আসে চীন-বাংলাদেশের মৈত্রীর বার্তা।
‘আমার নাম সিয়াং ছাও ছে। আমি ইয়ুননান প্রদেশের খুনমিং সিটি কলেজের একজন শিক্ষক।’
‘বাংলাদেশী জনগণ আমাদেরকে আতিথেয়তা করার জন্য আমরা কৃতজ্ঞতা জানাই। আমি আশা করি, চীন ও বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ আদান-প্রদান আরো জোরদার হবে।’
বিআরআই উদ্যোগে সমর্থনকারী দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ বাংলাদেশ উল্লেখ করে অনুষ্ঠানে চীনের ইয়ুননান প্রভিন্সিয়াল কমিটি অব সিপিসির পাবলিসিটি বিভাগের ভাইস মিনিস্টার ও ইয়ুননান প্রভিন্সিয়াল সিভিলাইজেশ্যন অফিসের ডিরেক্টর ফেং বিন, দুই দেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের কথা জানান।
“কুটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর থেকে বাংলাদেশ ও চীন পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও বোঝাপড়া ঠিক রেখে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে।“
চীনা বসন্ত উৎসবের শুভেচ্ছা জানিয়ে অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন,
এটি একটি নতুন সূচনাকে রিপ্রেজেন্ট করে, শুধুমাত্র বাংলাদেশ নয়, চীন-বাংলাদেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রেও। এটি নতুন সরকার,নতুন ভবিষ্যৎ, নতুন সহযোগিতার জন্য। এমন আয়োজন মানুষে মানুষে যোগাযোগ, তৃণমূলের সংস্পর্শকে জোরারোপ করে এবং পরস্পরের বুঝাপড়াকে বৃদ্ধি করে। তাই এটি ভবিষ্যৎ সহযোগিতায় নতুন সুযোগ তৈরি করে।
বসন্ত উৎসব বা স্প্রিং ফেস্টিভ্যাল চীনের সবচেয়ে বড় সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উৎসব। আসন্ন এই উৎসবকে ঘিরে এই ধরনের উদ্যোগ শুধু দর্শকদের বিনোদনই দেয়না দুই দেশের বন্ধন সুদৃঢ় করার ক্ষেত্রে সেতু হিসেবেও কাজ করে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।