চীনের সংস্কৃতি, চীনের ঐতিহ্য-৪৬
এবার উৎসবের বিশেষত্ব ছিল তাইওয়ানে খিনমেন দ্বীপের ২০ জন প্রতিনিধির যোগদান। এর মধ্য দিয়ে তাইওয়ান প্রণালীর দুই পারের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার হবে বলে আশা প্রকাশ করেন আয়োজকরা।
হ্যখও সম্প্রদায় তাদের প্রাচীন ঐতিহ্য সংরক্ষণে একটি থিম-ভিলেজ প্রতিষ্ঠারও পরিকল্পনা করছে।
স্প্রিং ফেস্টিভ্যাল গালা ২০২৪-এর লোগো উন্মোচন
ফেব্রুয়ারিতে আসন্ন ড্রাগন বর্ষকে সামনে রেখে চায়না মিডিয়া গ্রুপ-সিএমজি সম্প্রতি স্প্রিং ফেস্টিভ্যাল গালা ২০২৪-এর থিম ও লোগো উন্মোচন করে।
লোগোটির ডিজাইনার কু ইয়াংচিয়াং সম্প্রতি সিএমজির সঙ্গে সাক্ষাৎকারে এর বৈশিষ্ট্য তুলে ধরেন। বলেন, ২০২৪ সালের স্প্রিং ফেস্টিভ্যাল গালার থিম এবং লোগো মহান চীনা জাতির চেতনাকে প্রতিফলিত করে।
এবারের লোগোতে সচরাচর ব্যবহৃত হয় না এমন একটি অক্ষরকে ব্যবহার করা হয়েছে, যার অর্থ ‘ড্রাগনের উড্ডয়ন’। ডিজাইনা কু বলেন, এর মাধ্যমে আসলে ১৪০ কোটি চীনা মানুষের নতুন জাতীয় পুনরুজ্জীবনক রূপকের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে।
লোগোটি প্রকাশের পরপরই তা সবার নজর কাড়ে এবং গ্রহণযোগ্যতা পায়।
প্রতিবেদন: মাহমুদ হাশিম।
২. এবার চিরায়ত চীনা সাহিত্য
কবি সু শি: সং রাজবংশের উজ্জ্বলতম নক্ষত্র
সং রাজবংশের সময়কার উজ্জ্বলতম নক্ষত্র হলেন সু শি। প্রাচীন ও মধ্যযুগের চীনা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছেন তিনি। তিনি ছিলেন একাধারে কবি, লেখক, রাজনীতিবিদ, ক্যালিগ্রাফার বা হস্তলিপিশিল্পী, চিত্রশিল্পী, এবং চিকিৎসক। তিনি সু তং ফো নামেও পরিচিত ছিলেন। তার ভ্রমণগদ্য থেকে সং রাজবংশের সময়কার চীন বিষয়ে অনেক তথ্য পাওয়া যায়।
১০৩৭ সালের ৮ জানুয়ারি সিচুয়ান প্রদেশের মেইশানে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা সু সুন এবং ভাই সু চা দুজনেই ছিলেন লেখক। গ্রামের বিদ্যালয়ে একজন তাও পুরোহিতের কাছে তার শিক্ষাজীবন শুরু হয়। তিনি ও তার ভাই দুজনেই সরকারি চাকরির পরীক্ষায় কম বয়সে পাশ করে সম্রাট রানচোংয়ের মনোযোগ আকর্ষণ করেন। এরপরে আরেকটি পরীক্ষাতেও সু শি উচ্চ মেধার পরিচয় দিয়ে খ্যাতি অর্জন করেন। তিনি বিভিন্ন উচুঁ পদে চাকরি করে রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। পাশাপাশি তার কবিতা লেখাও চলতে থাকে। একটি কবিতায় তিনি সরকারি কাজের সমালোচনা করেন। ফলে রাজরোষে পড়ে তাকে নির্বাসন দণ্ড মেনে নিতে হয়।