চীনের সংস্কৃতি, চীনের ঐতিহ্য-৪৬
জার্মান চিত্রশিল্পী তানজা হেমান লিয়াংচৌর সাংস্কৃতিক সাইট ও নিদর্শন পরিদর্শন করে অভিভূত হন- তিনি জানান চীনের ক্যালিগ্রাফি তার আঁকার স্টাইলকেও প্রভাবিত করেছে। তিনি বলেন:
‘সবার আগে আমি বলতে চাই যে, লিয়াংচৌর প্রত্নতাত্ত্বিক সাইটগুলো আমাকে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে। এখানে আমরা প্রথম দিনেই এসেছিলাম এবং আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে এ নিয়ে আমি কাজ করবো’।
২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১০০টি দেশের শিল্পী ‘সিল্ক রোড শিল্পীদের মিলনমেলা’য় অংশ নিয়েছেন। চীনের সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এর আয়োজক।
২. সিয়ামেনে হ্যখও সম্প্রদায়ের ওয়াংছুয়ান উৎসব
পূর্ব চীনের ফুচিয়ান প্রদেশের সিয়ামেনের হ্যখও সম্প্রদায় সম্প্রতি তাদের ঐতিহ্যবাহী ওয়াংছুয়ান উৎসব উদযাপন করেছে। চতুর্বার্ষিক এ উদযাপনে ছিল লোক-পরিবেশনা, শোভাযাত্রা ও নৌকা-উৎসব।
দেবতা ওং ইয়া’র উপাসনা থেকে চালু হয় শতাব্দি প্রাচীন ওয়াংছুয়ান বা অং ছুয়ান উৎসবটি। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী এ দেবতা উপকূলীয় মানুষকে প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা করেন। ২০২০ সালে ওয়াংছুয়ান উৎসব ইউনেস্কোর বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত হয়।
প্রচলিত রীতি অনুযায়ী এবারের উৎসবেও ছিল সুনচিয়কং মন্দিরের সামনে ঐতিহ্যবাহী সিংহনৃত্য। তার আগে ছিল বর্ণিল সাজসজ্জায় সজ্জিত নৌকা নিয়ে শোভাযাত্রা। ৮ মিটার লম্বা ও ১ দশমিক ৮ মিটার চওড়া ওয়াংছুন নৌকাটি তৈরি করতে ৮ জন কারিগরের ৬ মাস সময় লাগে।