চীনের সংস্কৃতি, চীনের ঐতিহ্য-৪২
৭৯২ সালে চারবারের চেষ্টায় সরকারি চাকরির পরীক্ষা চিনশি পাশ করেন হান ইয়ু। তবে রাজধানীতে তিনি পদ পাননি। ফলে প্রাদেশিক সামরিক বাহিনীতে যোগ দিয়ে রাজধানীর বাইরে চলে যান হান ইয়ু। ৮০২ সালে তিনি সুচৌ শহরের সামরিক প্রশাসক হন। চাকরি জীবনে তাকে অনেক বার উত্থান পতনের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। কর্মদক্ষতার জন্য প্রশংসিত হয়েছেন। আবার স্পষ্টবাদিতার জন্য শাসকের বিরাগভাজনও হয়েছেন। সম্রাট মুচোং তাকে পছন্দ করতেন। হান ইয়ু রাজকীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে রেকটর হিসেবেও কাজ করেছেন। ৮২৪ খ্রিস্টাব্দের ২৫ ডিসেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তাকে হ্যইয়াংয়ে পারিবারিক সমাধিক্ষেত্রে সমাহিত করা হয়। তার নামে একটি নদী ও পাহাড়ের নাম করণ করা হয়। হান নদী ও হান পাহাড় দক্ষিণ চীনের ছাওচোওতে অবস্থিত। এই পাহাড় ও নদীর পাশেই রয়েছে হান ইয়ু মন্দির।
গদ্য রচনার জন্য বিপুল খ্যাতি পেলেও তার কবিতা সমকালে খুব বেশি প্রশংসিত হয়নি। তবে পরবর্তিকালের সমালোচকরা তার কবিতাকে ভালোভাবেই মূল্যায়ন করেন। তিনি বিচিত্র সব বিষয় নিয়ে কবিতা লিখেছেন। তিনি ভাষায় খুব বেশি অলংকার ব্যবহার পছন্দ করতেন না।
চাংচির জন্য লেখা প্রথম বসন্ত
রাজপথ সিক্ত হয়েছে ক্ষীরের ধারার মতো বৃষ্টিতে
কাছে নয় দূরে দেখা যায় সবুজ তৃণরাশি
এটা বছরের সবচেয়ে সবচেয়ে সুন্দর সময় যখন
উইলোর ঘোমটায় রাজধানীকে ঢেকে দিতে বৃথা চেষ্টা করে বসন্ত।
চীনের মহান সাহিত্যিক হান ইয়ু তার লেখা ও জীবন দর্শনের জন্য চিরায়ত চীনা সাহিত্যে অমরত্ব পেয়েছেন।
প্রতিবেদন: শান্তা মারিয়া।
---------------------------------------------------------------------------
সার্বিক তত্ত্বাবধানে: ইউ কুয়াং ইউয়ে আনন্দী
প্রযোজনা ও উপস্থাপনা: মাহমুদ হাশিম
অডিও সম্পাদনা: হোসনে মোবারক সৌরভ।