চীনের সংস্কৃতি, চীনের ঐতিহ্য-২০
তিনি বলেন- ‘সংস্কৃতি হচ্ছে একটি দেশ ও জাতির আত্মা। আমাদের সংস্কৃতি এগিয়ে গেলে দেশও এগুবো; সংস্কৃতি শক্তিশালী হলে দেশও শক্তিশালী হবে। আমাদের সংস্কৃতির ওপর পূর্ণ আস্থা ছাড়া, একটি সমৃদ্ধ ও প্রাগ্রসর সংস্কৃতি ছাড়া চীনা জাতির পুনরুজ্জীবন সম্ভব নয়’।
চীনের নিজস্ব সংস্কৃতির সংরক্ষণ ও উন্নয়নের পাশাপাশি হারিয়ে যাওয়া চীনা সাংস্কৃতিক নিদর্শন বিদেশ থেকে ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগী হন প্রেসিডেন্ট সি নিজেই।
তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এক দশকে ১৮ শ’ সাংস্কৃতিক নিদর্শন বিদেশ থেকে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয় চীন।
২০১৯ সালের মার্চে প্রেসিডেন্ট সি’র ইতালি সফরের সময় সেখান থেকে ৭৯৬টি সাংস্কৃতিক নিদর্শনের সবচেয়ে বড় চালানটি ফিরিয়ে আনা হয় চীনে। এটি চীনের ইতিহাসে একসঙ্গে সবচেয়ে বেশি সাংস্কৃতিক নিদর্শন ফিরিয়ে আনার ঘটনা।
এ ঘটনায় প্রেসিডেন্ট সি খুব আনন্দ প্রকাশ করেন বলে জানান জাতীয় জাদুঘর বিভাগের উপ-পরিচালক উ মিন।
তিনি বলেন, ‘ইতালির প্রধানমন্ত্রীকে সাংস্কৃতিক নিদর্শনগুলোর পরিচয় দিতে গিয়ে এবং এগুলোর চীনে ফিরিয়ে আনার তাৎপর্য সম্পর্কে বলতে গিয়ে সাধারণ সম্পাদককে খুব আনন্দিত দেখাচ্ছিল’।
সাংস্কৃতিক নিদর্শ উদ্ধারে একই বছর প্রেসিডেন্ট সি ছুটে গেছেন গ্রিসের এথেন্সে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২০ সালের ডিসেম্বেরে চীন ফিরে পায় ওল্ড সামার প্যালেসের সুবিখ্যাত ব্রোঞ্জের ঘোাড়ার মাথার ভাস্কর্য।
এ জন্য চীনা জাতিকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ১৬০ বছর।
বেইজিংয়ে এর প্রদর্শনীতে গোটা চীনা জাতির আবেগ ফুটে ওঠে একজন দর্শনার্থীর কণ্ঠে।