চীনের সংস্কৃতি, চীনের ঐতিহ্য-২০
প্রেসিডেন্ট একটি আধুনিক চীনা সভ্যতা গড়ে তুলতে নতুন সাংস্কৃতির মিশনের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিতে সংশ্লিষ্ট সকল মহলের প্রতি আহ্বান জানান।
বেইজিং নরমাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ইয়াং কাং মনে করেন প্রেসিডেন্ট সি’র প্রেরণাদায়ী বক্তব্য আধুনিক চীনা সভ্যতার ধারনাকে এগিয়ে নেবে।
তিনি বলেন- ‘সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্যে গভীরতা ও দূরদৃষ্টির ছাপ রয়েছে। এটি আধুনিক চীনা সভ্যতার নতুন ও গুরুত্বপূর্ণ ধারণাটিকে এগিয়ে নেবে। প্রেসিডেন্টে সির বক্তব্যের শুধু বাস্তবিক তাৎপর্য রয়েছে তা নয়, এর বড় একাডেমিক মূল্যও রয়েছে। চীনের সংস্কৃতি বিশ্বঅঙ্গনে নতুন রূপে পরিচিতি পেতে চলেছে’।
প্রেসিডেন্ট সি মার্কসবাদের মৌলিক নীতির সঙ্গে চীনের বাস্তবতা এবং সমৃদ্ধ ঐতিহ্যিক সংস্কৃতির মেলবন্ধনের ওপর জোর দেন।
এ দুটির সমন্বয় আধুনিক চীনা সভ্যতা গড়ে তোলার পথে সহায়ক হবে বলে মনে করেন নানচিং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো লিফেং।
তিনি বলেন- ‘যখন মার্কসবাদের মৌলিক নীতি, চীনের প্রকৃত অবস্থা আর চমৎকার ঐতিহ্যিক সংস্কৃতির সম্মিলন ঘটবে তখন নতুন এক সংস্কৃতির অভ্যুদয় হবে। এটি আমাদের আধুনিক চীনা সভ্যতা তৈরির প্রচেষ্টাকে এগিয়ে নেবে’।
প্রেসিডেন্ট সি তার বক্তব্যে একে চীনের ইতিহাসের টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে অভিহিত করেন।
২. বিদেশ থেকে সাংস্কৃতিক নিদর্শন ফিরিয়ে আনতে প্রেসিডেন্ট সি’র যুগান্তকারী উদ্যোগ
শুধু ২ জুন বেইজিংয়ে চীনের ইতিহাস একাডেমির সিম্পোজিয়ামেই নয়, চীনের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকারের অনুরাগী প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং বিভিন্ন উপলক্ষ্যে চীনের মহান পুনরুজ্জীবনের লক্ষ্যে নতুন সাংস্কৃতিক মিশনের দায়িত্ব নিতে আহ্বান জানান স্বদেশবাসীর প্রতি। এ জন্য নিজস্ব সংস্কৃতির ওপর গভীর আস্থা থাকা জরুরি বলে মনে করেন তিনি।