‘ঘুরে বেড়াই’-২য় পর্ব
এছাড়া , সাংহাই টাওয়ার, নদীর পাড় ,বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে ঘুরেছেন তিনি।
যারা চীন ঘুরতে যেতে চায় তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, চীন সব সময় পর্্যটককে আপন করে নেয়। যে একবার চীন ভ্রমণ করবেন, চীনের সংস্কৃতির সাথে পরিচিত হবেন তখন তিনি একে সেকন্ড হোম ভাবতে শুরু করবেন”।
৩। দৃষ্টিনন্দন পোতালা প্রাসাদ
বিশ্বের সুন্দরতম প্রাসাদগুলোর একটি পোতালা প্রাসাদ । চীনের স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চল তিব্বতের রাজধানী লাসায় অবস্থিত এই প্রাসাদ। পোতালাকা পর্বতের নামে এই নামকরণ করা হয় এই প্রাসাদের।
৬৩৭ সালে রাজা সংস্থেন গম্পো কর্তৃক প্রথম প্রাসাদটি নির্মিত হয়। তবে পঞ্চম দালাই লামা ১৬৪৫ সালে এখানে কিছু ভবন নির্মাণে হাত দেন এবং ১৬৯৪ সালে এ প্রাসাদের নির্মাণকাজ শেষ হয়। চতুর্দশ দালাই লামা পর্যন্ত ওটাই ছিল দালাই লামাদের প্রধান বাসভবন।
১৯৫৯ সাল থেকে জাদুঘর হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে এই প্রাসাদ। প্রাসাদটি প্রায় দুই লাখ ভাস্কর্য দিয়ে এ প্রাসাদ সাজানো হয়েছে। ভুমিকম্প প্রতিরোধে এই প্রাসাদের ভিত্তিতে ব্যবহার করা হয়েছে তামা। প্রাসদটির পূর্ব-পশ্চিমে ৪০০ মিটার এবং উত্তর-দক্ষিনে ৩৫০ মিটার লম্বা। পাথর নির্মিত এই প্রাসাদের দেয়াল ৩ মিটার পুরু এবং এর ভিত্তি ৫ মিটার পুরু।
প্রাসাদটি উত্তর-দক্ষিণে ৪০০ মিটার ও পূর্ব-পশ্চিমে ৩৫০ মিটার। প্রাসাদের দেয়ালগুলো তিন মিটার পুরু। ১৩ তলার সে প্রাসাদটিতে রয়েছে হাজারেরও বেশি কক্ষ। এছাড়া সাজানো হয়েছে প্রায় দুই লাখ ভাস্কর্য দিয়ে । সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে তিন হাজার ৭০০ মিটার ও মাটি থেকে প্রায় ৩০০ মিটার উঁচুতে পর্বতের চূড়ায় প্রাসাদটি নির্মিত।