‘ঘুরে বেড়াই’-২য় পর্ব
এক সময় কাশগর চীনা, তুর্কি, মঙ্গল এবং তিব্বতি সাম্রাজ্যের অধীনে ছিল। ২০১০ সালে শহরটি একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।
সুপ্রাচীন সিল্ক রোডের গুরুত্বপূর্ণ শহর কাশগরের পর্যটন শিল্পও সমৃদ্ধ। এখানকার লোকজ সংস্কৃতির আকর্ষণে প্রতিবছর অসংখ্য পর্যটক আসেন দেশ বিদেশ থেকে।
উইগুর ভেষজ কফিরও রয়েছে বিপুল জনপ্রিয়তা। পাশাপাশি খাদ্যসংস্কৃতিও খুব সমৃদ্ধ। উইগুর ও হুই মুসলিমদের পরিচালিত রেস্টুরেন্ট, কফিখানা, সরাইখানাগুলো কাবাব, নানসহ নানা রকম সুস্বাদু খাবার তৈরি করে।
পুরানো এ শহরের বেশিরভাগ ভবন সংস্কার করা হলেও স্থানীয় বৈশিষ্ট্যগুলো বজায় রাখা হয়েছে। রঙিন দেয়াল, বৃত্তাকার খিলান, সুন্দর ডিজাইন করা দরজা- জানালায় এই বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায়।
স্থাপত্যের পাশাপাশি, এ শহরের রাস্তার দোকানগুলো দেখার মতো। পুরানো এ শহরের প্রায় প্রতিটি রাস্তার নিজস্ব থিম রয়েছে, যাকে বলা হয় বাজার । হাজার বছরের প্রাচীন হাট বাজার যেখানে বিক্রি হয় ঐতিহ্যবাহী শিল্প সামগ্রী। কানতুমান নামে একটা বাজার আছে যেখানে ঐতিহ্যবাহী লোহার শিল্প সামগ্রী তৈরি করেন কামাররা। কাশগরের লোহার জালিকাজ বিখ্যাত।