মানুষ ও প্রকৃতি ২১
এখানকার সাগর সৈকত , জলাভূমি ও অরণ্য এলাকায় নির্ভয়ে নিশ্চিন্তে ঘুরে বেড়াচ্ছে পাখিরা। কারণ পুরো এলাকাটি পাখিদের জন্য নিরাপদ করে গড়ে তোলা হয়েছে।
স্থানীয় সরকার পাখিদের জন্য শীতকালীন আশ্রয়কে উন্নত করতে বাস্তুতন্ত্রের সুরক্ষা এবং পরিবেশ উন্নতকরণ চালু রেখেছে।
প্রকৃতি ও মানুষের সুষম শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে এবং পরিবেশ কর্মীদের অক্লান্ত চেষ্টায় ফুচিয়ান হয়ে উঠছে পরিযায়ী পাখির স্বর্গভূমি।
প্রকৃতি সংবাদ
উড়ন্ত ব্যাঙয়ের গল্প
চীনের হাইনান প্রদেশে সম্প্রতি দেখা মিলেছে নতুন প্রজাতির উড়ন্ত ব্যাঙয়ের। চলুন শোনা যাক প্রকৃতির আজব প্রাণী উড়ন্ত ব্যাংঙ নিয়ে একটি বিশেষ প্রতিবেদন। বলবেন হোসনে মোবারক সৌরভ
দক্ষিণ চীনের দ্বীপ প্রদেশ হাইনান। এখানে সাগরের ঢেউ আছড়ে পড়ে উপকূলে। আর ট্রপিক্যাল অরণ্যে ঘুরে বেড়ায় বিভিন্ন বন্যপ্রাণী। স্যাতঁসেঁতে বৃষ্টি ভেজা অরণ্য। পাতায় পাতায় ঝরে পড়ছে বৃষ্টির ফোঁটা। এরই মধ্যে এক ঝোঁপ থেকে অন্য ঝোঁপে উড়ে যাচ্ছে ছোট্ট একটি উভচর প্রজাতির প্রাণী। এটি ছোট একটি ব্যাঙ। উড়ন্ত ব্যাঙ বা চাইনিজ ফ্লাইং ফ্রগ বিজ্ঞানীদের কাছে অনেক দিন ধরেই পরিচিত। তবে এরই আত্মীয় নতুন এক প্রজাতির উড়ন্ত ব্যাঙ সম্প্রতি আবিষ্কৃত হয়েছে। হাইনান ফ্লাইং ফ্রগ নামের এই প্রজাতির বৈজ্ঞানিক নাম রাকোফোরাস কিয়োংইকা। এই প্রজাতির ব্যাঙ রাকোফোরিডি ফ্যামিলির।
দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় এক মাঠজরীপ চলাকালে নতুন এই প্রজাতির দেখা পান গবেষকরা। জুসিসটেমেটিকস অ্যান্ড এভোলিউশন জার্নালে একে নতুন প্রজাতির স্বীকৃতি দেয়া হয়। এর উচ্চতা ২ ইঞ্চির চেয়ে কম। গায়ের রঙ লাল। এর কাছাকাছি প্রজাতির উড়ন্ত ব্যাং কিছুটা বড়।
উড়ন্ত ব্যাঙ সাধারণত দক্ষিণ চীন , ভিয়েতনাম লাওস ও মায়ানমারে দেখা যায়। সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ৮০ থেকে ১৫০০ মিটারের মধ্যে এরা বাস করে। গায়ের রঙ সবুজ, শ্যাওলা, ধূসর, মেটে, কমলা হতে পারে। তবে নতুন আবিষ্কৃত হাইনান ফ্লাইং ফ্রগের রঙ পুরোপুরি লাল।