মানুষ ও প্রকৃতি ১৭
ইয়ংসিং এবং ছিলিয়ানইয়ু দ্বীপপুঞ্জে প্রবাল প্রাচীর পুনরুদ্ধার প্রদর্শন এলাকা স্থাপন করা হয়েছে। খুব শিগগিরি আরও ২ লাখ ৬০ হাজার প্রবালের চারা রোপণ করা হবে।
মানুষের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় এখানকার প্রাকৃতিক সামুদ্রিক পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা পাচ্ছে। সানশা সিটি হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রকৃতির অপরূপ লীলাভূমি।
প্রতিবেদন: শান্তা মারিয়া
সম্পাদনা: ফয়সল আবদুল্লাহ
প্রকৃতি সংবাদ
বাংলাদেশে বিরল প্রজাপতি ব্ল্যাক ফরেস্টার
অত্যন্ত বিরল এবং সুন্দর প্রজাপতি ব্ল্যাক ফরেস্টার, যা প্রকৃতির এক অদ্ভুত নিদর্শন। এর গাঢ় বাদামি রঙের ডানা এবং জটিল নকশা একে অন্য প্রজাপতি থেকে আলাদা করে তুলেছে। এই প্রজাপতিটি সাধারণত গভীর জঙ্গলে বাস করে এবং খুব কম দেখা যায়, যার ফলে এটি প্রকৃতিপ্রেমীদের কাছে এক রহস্যময় প্রাণী হিসেবে পরিচিত।
সংকটাপন্ন এ প্রজাপতির ইংরেজি নাম ব্ল্যাক ফরেস্টার। নিম্ফালিডি গোত্রের স্যাটিরিনি উপগোত্রের প্রজাপতিটির বৈজ্ঞানিক নাম লেথে ভিনদাইয়া। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, নেপাল, ভুটান ও মিয়ানমারে দেখা যায়। ব্ল্যাক ফরেস্টার মাঝারি আকারের প্রজাপতি। প্রসারিত ডানার দৈর্ঘ্য ৬৫ থেকে ৭০ মিলিমিটার। নাম কালো হলেও দেহ ও ডানার রং কিন্তু কালো নয়, বরং গাঢ় বাদামি। স্ত্রী-পুরুষ দেখতে একই রকম। ডানার ওপর চোখের মতো দেখতে ফুটকিগুলো তুলনামূলকভাবে বড়। পেছনের ডানার ওপরের চোখগুলো ফ্যাকাসে বলয়যুক্ত।
এরা মিশ্র চিরসবুজ পাহাড়ি বনের গহীনে বাস করে। রৌদ্রোজ্জ্বল ও নীরব দিনে ছড়ার তীর ও বনপথে রোদ পোহাতে দেখা যায়। অন্য সময় বাঁশঝাড়ের ভেতরে বিশ্রাম করে। দ্রুত উড়তে পারে। বয়স্কগুলো ফুলের নির্যাস, গাছের রস, পচা ফল ও স্যাঁতসেঁতে মাটির রস চোষে।
বিভিন্ন ধরনের গাছপালা প্রজাপতির বংশবৃদ্ধি ও খাদ্যের উৎস। বন ধ্বংস, জলবায়ু পরিবর্তন, এবং কীটনাশকের অপব্যবহারের ফলে এই প্রজাতিটির অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়েছে। ব্ল্যাক ফরেস্টারকে বাঁচাতে বিভিন্ন ধরনের সংরক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করা জরুরী। এজন্য বন সংরক্ষণ, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই এবং কীটনাশকের ব্যবহার কমানো প্রয়োজন।
প্রতিবেদন: শুভ আনোয়ার
সম্পাদনা: শান্তা মারিয়া
সুপ্রিয় শ্রোতা, আজকের অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে পৌছে গেছি আমরা।
মানুষ ও প্রকৃতির মধ্যে সুন্দর ভারসাম্য রক্ষা করে বিশ্বকে সবুজ করে তোলার আহ্বান জানিয়ে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি আমি শান্তা মারিয়া। আগামি সপ্তাহে আবার কথা হবে। চাই চিয়েন।
সার্বিক সম্পাদনা : ইয়ু কুয়াং ইউয়ে আনন্দী
লেখা, গ্রন্থনা ও উপস্থাপনা: শান্তা মারিয়া
অডিও পরিকল্পনা ও সম্পাদনা: হোসনে মোবারক সৌরভ