মানুষ ও প্রকৃতি ১৪
পরিচয় করিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করবেন।
প্রকৃতিপ্রেমীরা আশা করেন এই শাবকটি সুস্থভাবে বড় হয়ে উঠুক। প্রকৃতিতে আরও বাড়ুক সুন্দর ফ্লেমিংগো পাখির সংখ্যা।
প্রতিবেদন: শান্তা মারিয়া
সম্পাদনা: মিম
প্রকৃতি সংবাদ।
বনরক্ষকদের নিরাপত্তায় ব্যবহার হচ্ছে স্যাটেলাইট প্রযুক্তি
গহীন অরণ্যের রেঞ্জারদের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চীন ব্যবহার করছে স্যাটেলাইট। এটি যেমন রেঞ্জারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে তেমনি আবিষ্কৃত প্রাচীন গাছপালা সম্পর্কেপো ধারণা পাওয়া যায়। আর এই কাজ সহজ করতে এখন পর্যন্ত এই অরণ্যে স্থাপন করা হয়েছে চারটি বেস স্টেশন। বিস্তারিত প্রতিবেদনে।
চারদিক সুনসান নিরবতা, কোথাও যেন কেউ নেই। গহীন অরণ্যের এই বন পূর্ব চীনের উয়িশান জাতীয় উদ্যান। উয়ি পর্বত বা উয়িশান জাতীয় উদ্যান অবস্থিত চিয়াংসি ও ফুচিয়ান প্রদেশের সংযোগস্থলে। জাতীয় প্রকৃতি সংরক্ষণ ও জাতীয় প্রাকৃতিক এলাকা হিসেবে তালিকাভুক্ত এই উদ্যান।
এই জঙ্গলে গাছের ঘনত্ব এতই বেশি যেখানে কেউ হাঁটলে বা কাজ করলে কারও উপস্থিতি বোঝার উপায় নেই। তবে সমস্যার সমাধান দিয়েছে প্রযুক্তি। পার্কটিতে বনকর্মীদের উপস্থিতি বের করতে এখন ব্যবহার করা হচ্ছে স্যাটেলাইট। নিবিড় অরণ্যে রেঞ্জারদের অবস্থান নিশ্চিত করতে এবং নিরাপত্তা জোরদার করতেই এই ব্যবস্থা নিয়েছে পার্ক কর্তৃপক্ষ।
এই বনের যেখানে সবচেয়ে দুর্বল সংকেত পাওয়া যায় সেখানেই কাজ করবে দেশটির নিজস্ব স্যাটেলাইট বেইদু। চীনের এই নেভিগেশন স্যাটেলাইট যাতে খুব ভালো কাজ করে সেজন্য স্থাপন করা হয়েছে বেস স্টেশন। এতে সহজেই সিগন্যাল পাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।
সিয়ং ছিয়াং ,প্রযুক্তিবিদ, উয়িশান ন্যাশনাল পার্ক। তিনি বলেন, "আমরা দেখতে পাচ্ছি কোনো সংকেত না থাকলেও, এই উঁচুতেও আমাদের অবস্থান দেখা যাচ্ছে"।
বেইদু নেভিগেশন স্যাটেলাইট সিস্টেম ড্রোনগুলো মহাকাশের বিভিন্ন গতি ও অবস্থানের তথ্য ব্যবহার করে সুনির্দিষ্ট এলাকার আবহাওয়া পর্যবেক্ষণে কাজ করে।
সিয়ং ছিয়াং বলেন, ‘কমান্ড সেন্টারে আমরা মিশন সেট করতে এবং মিশন সংক্রান্ত তথ্য ড্রোনে পাঠাতে কম্পিউটার ব্যবহার করি। এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করে। কাজ শেষে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই রিচার্জের জন্য ফিরে আসে ড্রোনগুলো। আবার স্বয়ংক্রিয়ভাবেই সেগুলো ডেটা আপলোড করে।’