মানুষ ও প্রকৃতি ১৩
এখানে আরও অনেক প্রজাতির প্রাণী রয়েছে। বুনো ইয়াক, কালো গলা সারস এবং নেকড়ে। এখানে নাইমা কাউন্টিতে নরবু ইয়ুগাইল ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন স্টেশনের প্রধান কালচাং লুনধ্রুপ জানান ছাংথাং একসময় ছিল বিশ্বের দুর্গমতম এলাকার অন্যতম। এখানে চোরা শিকারিদের দাপট ছিল। তারা প্রচুর সংখ্যক অ্যান্টিলোপ ও অন্যান্য প্রাণী শিকার করে এগুলোকে বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিল। তবে এখন টিবেটান অ্যান্টিলোপ ও কালো গলা সারস পাখি বিলুপ্তির আশংকা থেকে মুক্ত। ওদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।
৭১ বছর বয়সী প্রবীণ প্রাণী বিজ্ঞানী লিউ উলিন গত ৪০ বছর ধরে সিচাং এর বন্য প্রাণী নিয়ে গবেষণা করছেন। ঊনিশশ নব্বইয়ের দশকে এখানে টিবেটান অ্যান্টিলোপ ছিল ৭০ হাজারের মতো। এখন ৩ লাখের বেশি বন্য অবস্থায় টিবেটান অ্যান্টিলোপ আছে।
২০১৫ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ছাংথাং এ ৭৩টি ওয়াইল্ড লাইফ স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে যেখানে ৭৮০ জন অফিসার কাজ করছেন। নরবু ইয়ুগেইল স্টেশনে আছেন ১৪জন। তাদের মধ্যে মাইল স্টেশনে তিনটি মাতৃহীন অ্যান্টিলোপ শাবককে পালন করা হয়েছে। পরে তাদের বন্য পরিবেশে মুক্ত করা হয়।