মানুষ ও প্রকৃতি ১৩
ইউনাইটেড নেশনস এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রাম অনুসারে, লোনা এবং লোনা জলে বসবাসের জন্য অভিযোজিত, গ্রীষ্মমন্ডলীয় এবং উপক্রান্তীয় অঞ্চলের ১২৩টি দেশে উপকূল এবং মোহনা বরাবর ম্যানগ্রোভ পাওয়া যায়।
ম্যানগ্রোভ অরণ্য ঝড়, ক্ষয় এবং বন্যার বিরুদ্ধে সুরক্ষা প্রদান করে, জলের গুণমান উন্নত করে, ১৫০০ টিরও বেশি প্রজাতিকে প্রাকৃতিক বাসস্থান সরবরাহ করে এবং প্রবাল প্রাচীরের মতো পার্শ্ববর্তী বাস্তুতন্ত্রকে উপকৃত করে।
ম্যানগ্রোভ সংরক্ষণ বিশ্বব্যাপী উদ্বেগের বিষয়। চীনও ম্যানগ্রোভের ক্ষতির সমস্যা মোকাবেলায় অগ্রাধিকার দিয়েছে। ১৯৫০ থেকে ২০০০সাল পর্যন্ত, ভূমি পুনরুদ্ধার, চিংড়ি ও ধান চাষ, শিল্প সম্প্রসারণ এবং অন্যান্য কারণের কারণে চীন তার ম্যানগ্রোভ বনের অর্ধেকেরও বেশি হারিয়েছে। এই ক্রমহ্রাসমান প্রবণতাকে ফিরিয়ে আনতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
২০০০ সালে, দক্ষিণ চীনের কুয়াংসি চুয়াং স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের ফাংছ্যংকাং শহরের প্রকৃতি সংরক্ষণকে একটি জাতীয় স্তরের রিজার্ভে উন্নীত করা হয়, যা ম্যানগ্রোভ সুরক্ষার জন্য একটি ক্লাসিক মডেল হয়ে উঠেছে।এই প্রাকৃতিক সংরক্ষিত অঞ্চলটি এখন ৩০০০ হেক্টরের বেশি জমি জুড়ে রয়েছে এবং এটি ১৮ প্রজাতির ম্যানগ্রোভ গাছপালা, ১৫৫ প্রজাতির বড় প্রাণী, প্রায় ৬০ প্রজাতির মাছ এবং ৩০০ টিরও বেশি প্রজাতির পাখির আবাসস্থল।
প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং প্রস্তাবিত "উজ্জ্বল জল এবং সুন্দর পর্বত অমূল্য সম্পদ" নীতির দ্বারা পরিচালিত, চীন তার ম্যানগ্রোভ বনগুলোকে রক্ষা ও পুনরুদ্ধারের জন্য ক্রমাগত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
চীনের ম্যানগ্রোভ বনের আয়তন এখন প্রায় ২৯,২০০ হেক্টর, চলতি শতাব্দীর শুরু থেকে প্রায় ৭২০০ হেক্টর বৃদ্ধি পেয়েছে, যা চীনকে সেই কয়েকটি দেশের মধ্যে একটি করে তুলেছে যেখানে ম্যানগ্রোভ বন আসলেই বিস্তৃত হচ্ছে।
প্রতিবেদন: শান্তা মারিয়া
সম্পাদনা: ফয়সল আবদুল্লাহ
সুপ্রিয় শ্রোতা অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে পৌছে গেছি আমরা।
আমাদের প্রিয় এই বিশ্বকে বাসযোগ্য করে গড়ে তুলতে প্রত্যেকের রয়েছে কিছু ভূমিকা। আসুন জীববৈচিত্র্য রক্ষায় এগিয়ে আসি। এই আহ্বান জানিয়ে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি আমি শান্তা মারিয়া। আগামি সপ্তাহে আবার কথা হবে। চাই চিয়েন।
সার্বিক সম্পাদনা : ইয়ু কুয়াং ইউয়ে আনন্দী
লেখা, গ্রন্থনা ও উপস্থাপনা: শান্তা মারিয়া
অডিও পরিকল্পনা ও সম্পাদনা: হোসনে মোবারক সৌরভ