মানুষ ও প্রকৃতি পর্ব ১১
এখন আবার লি চিয়াং নদীর সেই নীল পরিষ্কার পানি আর জীববৈচিত্র্য ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। নদীর ভাষা এখন আনন্দের।
সম্প্রতি পালিত হয় চীনের দ্বিতীয় জাতীয় পরিবেশ দিবস। সেখানে পরিবেশের সুরক্ষায় চীনের বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরা হয়।
২০১২ সালে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি সিপিসির ১৮তম জাতীয় কংগ্রেসের পর থেকে, চীন ১০২ কোটি মু বা ৬ কোটি ৮০ লাখ হেক্টর জমিতে বনায়ন সম্পন্ন করেছে। একই সময়ে ১২৪ কোটি মু জমিতে বনায়নের হার ২১ দশমিক ৬৩ শতাংশ থেকে বেড়ে ২৪ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ হয়েছে।
চীনে এখন কৃত্রিম সংরক্ষিত বন এলাকা ১৩১ কোটি মু’র বেশি। যা বিশ্বে সর্বোচ্চ। এই সময়ে ঘাস বপনের মাধ্যমে প্রায় ৭০ কোটি মু পরিমাণ জমির মান উন্নত করা হয়েছে। চীন বিশ্বের বৃহত্তম জাতীয় উদ্যান ব্যবস্থাও তৈরি করছে, যাতে সংরক্ষিত বন্যপ্রাণী প্রজাতির ৮০ শতাংশেরও বেশি নিরাপদে থাকছে।
চীন জাতীয় বোটানিক্যাল গার্ডেন এবং দক্ষিণ চীন জাতীয় বোটানিক্যাল গার্ডেন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিপন্ন প্রজাতির জায়ান্ট পান্ডা এবং বেশ কিছু বিপন্ন বন্য উদ্ভিদের সংরক্ষণের প্রচেষ্টাও বাড়িয়েছে।
দেশ জুড়ে গড়ে তোলা হয়েছে অনেক জলাভূমি পার্ক।
মোট সাড়ে ৮৪ কোটি মু জলাভূমিতে তিন হাজার ৬০০টি সংরক্ষণ ও পুনরুদ্ধার প্রকল্প সম্পন্ন করেছে চীন। প্রকৃতি সংরক্ষণের বিচারে যা বিশ্বে চতুর্থ।