মানুষ ও প্রকৃতি ৮
প্রকৃতির এই বিশালাকার সুন্দর সন্তানরা তুষারঢাকা শীতল বনকে আরও সুন্দর করে তুলছে।
সম্পাদনা: মিম
বর্তমানে সারা বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনের নানা রকম চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে, যার প্রভাব আগামীর দিনগুলোতে আরও বাড়তে পারে।
একটি বসবাসযোগ্য ও নিরাপদ পৃথিবী গড়ে তুলতে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যেই আমাদের অনুষ্ঠান মানুষ ও প্রকৃতি। অনুষ্ঠানের এ পর্যায়ে শুনবো প্রকৃতি সংবাদ
প্রকৃতি সংবাদ
নগরীতে বাঁশবনের ছায়া
মানুষের মন চায় প্রকৃতির সান্নিধ্য। কিন্তু শহরের ভিতরের গাছের ছায়া, পাখির ডাক কোথায়? শহরের ভিতরে এজন্য গড়ে তোলা হয় ছোট ছোট আরবান পার্ক। চীনে এমন আরবান পার্ক কিভাবে গড়ে তোলা হচ্ছে সে বিষয়ে এখন শুনবো।
চীনে বিভিন্ন আরবান পার্ক গড়ে তুলতে ভালো ভূমিকা রাখছে বাঁশবন। পূর্ব চীনের শানতোং প্রদেশের লিয়াওছ্যং সিটিতে গড়ে তোলা হয়েছে এমন বাঁশবন। তোংছাং লেক জাতীয় জলাভূমি পার্কের একটি অংশে ২০ হেকটর এলাকা নিয়ে এই বন গড়ে তোলা হয়েছে। বছর দশেক আগেও এ জায়গাটা ছিল পতিত শূন্য ভূমি। ক্ষার ও লবণাক্ত ভূমি শীতকালে বরফে ঢাকা হয়ে পড়ে থাকতো। লিয়াছ্যং সিটির ঘাস, গাছ ও বাঁশ উন্নয়ন গবেষণা কেন্দ্র এখানে সবুজায়নের পরিকল্পনা নেয়।
১৯৫০ এর দশকে চীনে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। প্রকল্পের অধীনে শীত সহ্য করতে পারে এমন বাঁশের প্রজাতিকে দক্ষিণ থেকে উত্তরে স্থানান্তরের ব্যবস্থা করা হয়। এর মাধ্যমে গ্রামকে সবুজ করা, শহরের পার্ক ও বিভিন্ন সড়কদ্বীপকে সুন্দর করে তোলা এবং পরিবেশকে উন্নত করার প্রক্রিয়া চলতে থাকে। বাঁশবনগুলো চীনের সবুজ উন্নয়নে ভূমিকা রাখে। বাঁশবন গড়ে তোলার প্রকল্পের মধ্যে লিয়াওছ্যং সিটি প্রথম সারিতে রয়েছে।
বর্তমানে এই শহরে পাঁচটি বাঁশ অঙ্কুরোদগম ও চারা তৈরির খামার রয়েছে। বাঁশ প্ল্যানটেশনের পরিমাণ ২০০ হেকটর জমি ছাড়িয়ে গেছে। ইয়েলো নদীর তীরে গড়ে তোলা হয়েছে এই খামার।