বাংলা

মানুষ ও প্রকৃতি ১

CMGPublished: 2024-06-16 14:57:03
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

এখানে এই প্রজাতির পাখিদের বসবাসের সবচেয়ে উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে বলে পাখিরা প্রজনন মৌসুমে এখানে বসতি গাড়ে।

প্রকৃতির সন্তান মিলু হরিণ

ওসি: চীনের একটি বিপন্ন প্রজাতির হরিণ মিলু । একে পিয়েরে ডেভিড’স ডিয়ারও বলা হয়। একশ বছর আগে বিভিন্ন কারণে বিলুপ্ত হয়ে যায় এই হরিণ। কিন্তু বর্তমানে চীনের পরিবেশ সুরক্ষামূলক কর্মকাণ্ডের সুবাদে বিলুপ্তি থেকে রক্ষা পেয়েছে এই হরিণ। সংখ্যাতেও বাড়ছে। বিস্তারিত রয়েছে প্রতিবেদনে।

প্যাকেজ:

মিলু হরিণ বা পিয়েরে ডেভিড হরিণ চীনের দেশীয় প্রজাতি। কিন্তু এক শ বছরের বেশি আগে যুদ্ধ, চোরা শিকার ও বিভিন্ন কারণে এই প্রজাতি বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে পৌছায়। পিয়েরে ডেভিড নামে একজন জীববিজ্ঞানী কয়েকটি হারিণকে ইউরোপে নিয়ে যান। ফ্রান্সে ও জার্মানিতে চিড়িয়াখানায় রাখা হয় হরিণগুলোকে। বিশ শতকের শুরুতে হারব্রান্ড রাসেল নামে একজন ব্রিটিশ অভিজাত তার নিজস্ব খামারে এই প্রজাতির হরিণ পালন করেন।

১৯৮৫ সালে যুক্তরাজ্য ২০টি মিলু হরিণ চীনকে ফেরত দেয়।

এরপর দীর্ঘ কয়েক দশকের পরিবেশ সংরক্ষণমূলক কাজ, গবেষণা ও অক্লান্ত প্রচেষ্টার ফলে এই বিপন্ন প্রজাতির হরিণকে রক্ষা করা এবং তাদের সংখ্যা আগের চেয়ে বাড়ানো সম্ভব হয়েছে।

মিলু হরিণকে রক্ষার জন্য স্থাপন করা হয়েছে বেইজিং মিলু ইকোলজি রিসার্চ সেন্টার। ১৯৮৫ সালে যুক্তরাজ্য থেকে আনা হরিণদের এই কেন্দ্রে রাখা হয়। কৃত্রিমভাবে তাদের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য চলতে থাকে ব্যাপক গবেষণা। এখানে প্রথম আউটডোর ইকোলজিকাল মিউজিয়াম স্থাপন করা হয়। নাম দেয়া হয় হাইনানচি মিলু মিউজিয়াম। মিলু জলাভূমি এলাকার হরিণ। প্রাপ্তবয়স্ক মিলু হরিণ মাথাসহ দৈর্ঘ্যে ১.৯ থেকে ২.২ মিটার পর্যন্ত হতে পারে। ওজন ১৩৫ থেকে ২০০ কিলোগ্রাম হয়ে থাকে। তাদের শিং বেশ বড়। বছরে দুই জোড়া শিং হয়। গ্রীষ্মকালে মাথায় বড় শিং থাকে। শরতে সেগুলো পড়ে যায়। শীতকালে নতুন শিং গজায়। এই হরিণ ভালো সাঁতার কাটতে পারে। কাঁধ পর্যন্ত জলায় দাঁড়িয়ে থাকে। জলাভূমিতে জন্মানো ঘাস, এখানকার গাছ ও গাছের পাতা তাদের প্রধান খাদ্য।

首页上一页1234全文 4 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn