দেহঘড়ি পর্ব-০৫১
টাইপ-টু ডায়াবেটিস রোগীদের নিয়ে পরিচালিত এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, কেবল প্রচলিত ওষুধ ব্যবহার করেছেন এমন রোগীরা নিউরোপ্যাথির ক্ষেত্রে যে ফল পেয়েছেন টিসিএম চিকিৎসা গ্রহণকারীরা তার চেয়ে অনেক ভাল ফল পেয়েছেন।
#ভেষজের গুণ
অন্তহীন গুণ অশ্বগন্ধার
ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসায় ব্যবহৃত একটি গুরুত্বপূর্ণ ভেষজ অশ্বগন্ধা। অশ্বগন্ধার নামটি এসেছে এ গাছের শিকড় থেকে। অশ্বগন্ধা গাছের মূল থেকে ঘোড়ার গন্ধ আসে। তাই এর নাম দেওয়া হয়েছে অশ্বগন্ধা। এর বৈজ্ঞানিক নাম উইথানিয়া সমনিফেরা।
অশ্বগন্ধা অত্যাশ্চর্য ভেষজ নামেও পরিচিত। স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অশ্বগন্ধার উপকারিতা অপরিসীম। একে অ্যাডাপ্টোজে অর্থাৎ মানসিক চাপ মুক্তির এজেন্টও বলা হয়। জানিয়ে দিচ্ছি এ ভেষজের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে:
[U1] রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: মানুষের দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে অশ্বগন্ধার জুড়ি নেই। অশ্বগন্ধায় থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এ কাজে সাহায্য করে। এ ভেষজে আছে প্রদাহবিরোধী উপাদান যা মানুষের দেহে সংক্রমণ প্রতিরোধ করে।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে: ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসা শাস্ত্রমতে, অশ্বগন্ধা ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। যাদের কেমোথেরাপি দিতে হয় তাদের শারীরিক অবস্থার উন্নতিতে কাজ করে এ ভেষজ।
রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে: মানুষের দেহের রক্ত চলাচল নিয়ন্ত্রণে রাখার ক্ষেত্রে অশ্বগন্ধা বেশ কার্যকর। এর মাধ্যমে হৃৎপিণ্ডকে রোগ থেকে রক্ষা করে এ ভেষজ। ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসা শাস্ত্রমতে, অশ্বগন্ধা মানুষের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং পেশির শক্তি বৃদ্ধি করে। আর্থাইটিসে ব্যথায় অশ্বগন্ধার গুঁড়া খুবই উপকারী।
ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে: অশ্বগন্ধার মূল ও পাতার রসে থাকা অ্যান্টি-ডায়বেটিক উপাদান রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এর মূল ও পাতার কোষে ফ্ল্যাভোনয়েডস নামক উপাদান থাকে যা ডায়বেটিস রোগীর দেহে ইনসুলিনের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে।