দেহঘড়ি পর্ব-০৪৬
‘দেহঘড়ি’র এ পর্বে থাকছে ট্যাডিশনাল চাইনিজ মেডিসিন বা টিসিএম নিয়ে আলোচনা ‘ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসাধারা’, চীনের হাসপাতাল-পরিচিতি ‘চিকিৎসার খোঁজ’ এবং টিসিএম ভেষজের উপকারিতা নিয়ে আলোচনা ‘ভেষজের গুণ’।
#ঐতিহ্যবাহী_ চিকিৎসাধারা
আকুপাংচারে দূর হয় নাকের পলিপ
নাকের পলিপ হলো একটি মাংসপিণ্ড যা নাকের গহ্বরের সাথে যুক্ত থাকে। পলিপ শ্লেষ্মা-ঝিল্লি থেকে সৃষ্টি হয়। এটি ফুলে যেতে পারে এবং আংশিকভাবে নাকের ছিদ্র ও সাইনাসগুলো অবরুদ্ধ করে দিতে পারে, যার ফলে শ্বাসকষ্ট এবং ঘন ঘন সংক্রমণ দেখা দিতে পারে এবং স্বাদ ও গন্ধের অনুভূতি লোপ পেতে পারে। তবে পলিপ থেকে ক্যান্সার হয় না।
পলিপ বিভিন্ন আকারের হয়। এগুলোর রং হলদে-বাদামী বা গোলাপী হয় এবং আকৃতি হয় চোখের জলের ফোঁটা বা আঙ্গুরের মতো ৷ পলিপ উভয় নাসারন্ধ্রে হতে পারে এবং গুচ্ছ আকারে বাড়তে পারে৷
লক্ষণ: নাকের পলিপের সাধারণ উপসর্গগুলোর মধ্যে রয়েছে দীর্ঘস্থায়ী সর্দি, শ্বাস-প্রশ্বাসে অসুবিধা, ঘুমের অসুবিধা, গলার পিছনে ক্রমাগত শ্লেষ্মা প্রবাহের অনুভূতি, গন্ধ ও স্বাদের অনুভূতি কমে যাওয়া, মাথাব্যথা, উপরের পাটির দাঁতে ব্যথা, কপাল ও মুখের উপর চাপ বোধ করা, মাঝে মাঝে নাক দিয়ে রক্ত পড়া, নাক ডাকা, চোখের চারপাশে চুলকানি, ইত্যাদি।
পলিপের কারণ: নাকে সংক্রমণ বা অ্যালার্জি-জনিত জ্বালা হলে নাকের মিউকোসা ফুলে যায় এবং লাল হয়ে যায় এবং এটি থেকে তরল বের হতে পারে। এ অবস্থা দীর্ঘ হলে পলিপ সৃষ্টি করতে পারে মিউকোসা। অনেকের এমন সমস্যা ছাড়াই পলিপ হতে পারে, তবে সেসব ক্ষেত্রে দেখা যায় অন্য কোনও অনুঘটক থাকে। যেমন দীর্ঘস্থায়ী বা বারবার ঘটা সাইনাস সংক্রমণ, হাঁপানি, অ্যালার্জিক রাইনাইটিস, সিস্টিক ফাইব্রোসিস, চুর্গ-স্ট্রস সিনড্রোম, অ্যাসপিরিনের মতো নন-স্টেরয়েড প্রদাহবিরোধী ওষুধের প্রতি সংবেদনশীলতা ইত্যাদি। আবার বংশগত কারণেও কারও কারও পলিপ হতে পারে।