বাংলা

দেহঘড়ি পর্ব-০৪৪

CMGPublished: 2023-11-12 19:03:37
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

কনজাংটিভাইটিসের ব্যাপারে টিসিএম দৃষ্টিভঙ্গি

প্রচলিত চিকিৎসাব্যবস্থায় কনজাংটিভাইটিসের বিশেষ কোনও চিকিৎসা নেই। চিকিৎসকরা সাধারণত প্রদাহ কমানোর ওপর দৃষ্টি দেন। তবে ঐতিহ্যবাহী চীনা চিকিৎসাব্যবস্থা বা টিসিএমে মনে করা হয়, কনজাংটিভাইটিসের জন্য জন্য দায়ী হলো বায়ু ও তাপ, যা আসলে প্রদাহের মূল কারণ। যদি এই প্যাথোজেনিক কারণগুলো শরীর থেকে দূর করা না হয় এবং শরীরে এটা বাড়তে থাকে, তাহলে একটি তীব্র কনজাংটিভাইটিসে পরিণত হতে পারে। সাধারণ কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে অতিরিক্ত অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় গ্রহণ, ভাজা বা মশলাদার খাবার খাওয়া, চোখের অত্যধিক ব্যবহার, তীব্র বাতাসের সংস্পর্শে আসা, অল্প আলো, অপর্যাপ্ত ঘুম এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ।

কনজাংটিভাইটিসের টিসিএম চিকিৎসা

কনজাংটিভাইটিসের টিসিএম চিকিৎসার মূল লক্ষ্য থাকে প্রদাহ কমানো এবং চুলকানি বন্ধ করার জন্য শরীর থেকে বায়ু ও তাপজনিত প্যাথোজেনগুলো বের করে দেওয়া। এর জন্য আক্রান্ত এলাকা মেরিডিয়ানগুলোতে রক্ত ও মূল শক্তি বা ‘ছি’র প্রবাহ উন্নীত করতে হয়। কনজাংটিভাইটিসে আক্রান্ত হলে উষ্ণ পানি ও সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে নিয়মিতভাবে। কনজাংটিভাইটিস-সৃষ্ট চুলকানি ও অস্বস্তি কমাতে সাময়িকভাবে অপটিক্যাল স্যালাইন দ্রবণ ব্যবহার করা যায় তবে এ ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

সতর্কতা

কনজাংটিভাইটিস হলে কতগুলো সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। যেমন ধুলাবালি, আগুন, আলো ও রোদে কম যাওয়া; ময়লা-আবর্জনাযুক্ত স্যাতসেঁতে জায়গায় না যাওয়া; পুকুর বা নদী-নালায় গোসল না করা; চোখে কালো চশমা ব্যবহার করা এবং টেলিভিশন না দেখা; সম্ভব হলে ১০ থেকে ১৫ দিন বিশ্রাম নেওয়া; এবং সংক্রমিত রোগীদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা।

#চিকিৎসার_খোঁজ

প্রথম শ্রেণির ক্লিনিক বেইলি অ্যান্ড জ্যাকসন মেডিকেল সেন্টার

首页上一页1234全文 4 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn