দেহঘড়ি পর্ব-০৪৪
‘দেহঘড়ি’র এ পর্বে থাকছে ট্যাডিশনাল চাইনিজ মেডিসিন বা টিসিএম নিয়ে আলোচনা ‘ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসাধারা’, চীনের হাসপাতাল-পরিচিতি ‘চিকিৎসার খোঁজ’ এবং টিসিএম ভেষজের উপকারিতা নিয়ে আলোচনা ‘ভেষজের গুণ’।
#ঐতিহ্যবাহী_ চিকিৎসাধারা
কনজাংটিভাইটিসের ভাল চিকিৎসা টিসিএম
কনজাংটিভাইটিস হলো একটি চোখের সংক্রমণ যা ‘পিঙ্কআই’ নামেও পরিচিত। বাংলায় এ রোগকে ‘চোখ ওঠা’বলা হয়। কনজাংটিভাইটিস চোখের কনজাংটিভা ঝিল্লির সংক্রামক প্রদাহ। এ রোগ হলে চোখ লাল হয়, ফুলে ওঠে ও চুলকায়। কয়েক ধরনের কনজাংটিভাইটিস খুব সংক্রামক। এটি ব্যাকটেরিয়া যেমন হেমোফিলাস ইজিপটিকাস বা ভাইরাসের সংক্রমণে কিংবা অ্যালার্জি, রাসায়নিক বা শারীরিক কারণের হয়। অপরিচ্ছন্ন হাত দিয়ে চোখে ঘষাঘষি করলে এ রোগ হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
উপসর্গ
কনজাংটিভাইটিস হলে চোখ লাল হয় ও ফুলে উঠে; জ্বালাপোড়া হয়, চোখের ভেতর অস্বস্তি শুরু হয় এবং সামান্য ব্যথা হয়; রোদে বা আলোতে তাকাতে কষ্ট হয়; চোখ দিয়ে পানি ঝরে; ঘুম থেকে উঠার পর চোখের পাতা দুটো লেগে থাকে; চোখ থেকে আঠালো স্রাব বের হতে থাকে এবং হলুদ রঙের পুঁজ সৃষ্টি হয়। তবে সব উপসর্গ কোনও একজন রোগীর ক্ষেত্রে একসাথে দেখা নাও যেতে পারে। সাধারণত ৭-৮ দিনের মধ্যে উপসর্গগুলো কমে আসে। প্রাথমিক অবস্হায় এ রোগের চিকিৎসা নিলে খুব সহজেই সেরে যায়; তবে চিকিৎসাগ্রহণে দেরি হয়ে কখনও কখনও জটিল আকার ধারণ করতে পারে।
যেভাবে ছড়ায়
ভাইরাসের কারণে কনজাংটিভাইটিস হলে চোখের পানিতে ভাইরাস ভেসে বেড়ায়। যখনই আমরা এই পানি মুছতে যাই, তখনই এটি আমাদের হাতে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর সেই হাত দিয়েই আমরা যা কিছুই ছুঁই না কেন, সেখানে ভাইরাস চলে যায়। যেমন কারোর সঙ্গে করমর্দন, টিভি, এয়ারকন্ডিশনার রিমোট, ব্যবহৃত তোয়ালে, বিছানার চাদর, বালিশের কভার, এমনকি মুঠোফোন ইত্যাদিতে চলে আসতে পারে এ ভাইরাস। এজন্য আক্রান্ত ব্যক্তিকে এই সময়ে বাসায় থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয়। তার ব্যবহৃত জিনিসপত্রও কিছুটা আলাদা রাখা ভালো।