দেহঘড়ি পর্ব-০৩৯
যদি রাতে হাঁটুর ব্যথার উপসর্গগুলো বাড়ে, তাহলে সাধারণ সেটি হয় কিডনি ও লিভারে ইয়িনের ঘাটতির কারণে। ইয়িনের ঘাটতিজনিত হাঁটু-ব্যথার অন্য উপসর্গগুলোর মধ্যে থাকে দুপুর ও রাতে ঘাম, অবিরাম তৃষ্ণা, ত্বকের শুষ্কতা এবং চুল ভেঙে যাওয়া। অন্যদিকে যদি কম তাপমাত্রায় হাঁটু-ব্যথা তীব্র হয় কিন্তু বেশি তাপমাত্রায় স্বস্তি হয়, তাহলে সেটি ইয়াংয়ের ঘাটতির কারণে হয়।
টিসিএম চিকিৎসা: হাঁটু-ব্যথার টিসিএম চিকিৎসা একটি সামগ্রিক চিকিত্সা। এ চিকিৎসায় হাঁটু-ব্যথা উপশম করার জন্য ঠান্ডাশক্তি ‘ইয়িন’ ও তাপশক্তি ‘ইয়াং’য়ের সমন্বয়ের মাধ্যমে ‘ছি’ প্রবাহ ঠিক করা এবং দীর্ঘমেয়াদী নিরাময়ের জন্য হাঁটুকে সচল করার উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। হাঁটু-ব্যথার টিসিএম প্রোটোকলের লক্ষ্য থাকে সঠিকভাবে মূল কারণ নির্ণয় করা, ব্যথা উপশম করা এবং হাঁটুর গতিশীলতা বাড়ানো। এ সমস্যার টিসিএম চিকিৎসায় কয়েকটি কয়েকটি পন্থা অবলম্বন করা হয়। এগুলো হলো ভেষজ ওষুধ, আকুপাংচার, মক্সিবাসশন, কাপিং, মালিশ, ইত্যাদি।
চিকিৎসার ধাপ: টিসিএম চিকিৎসার প্রথম ধাপে, চিকিৎসকরা ব্যথার উপসর্গগুলো বিশ্লেষণের উদ্দেশে রোগীর সঙ্গে পরামর্শ করেন এবং তারপর সে উপসর্গের ভিত্তিতে একটি চিকিৎসা প্রটোকল তৈরি করেন। দ্বিতীয় ধাপে, ব্যথার মাত্রা পরিমাপ করার জন্য একটি পরিবাহী যন্ত্র ব্যবহার করে একটি পরীক্ষা চালানো হয়। তৃতীয় ধাপে, টিসিএম অনুশীলনকারীরা চিকিৎসা প্রটোকল, বিশেষ করে ওষুধ ও আকুপাংচার প্রয়োগ করতে শুরু করেন। এবং চতুর্থ ধাপে যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে ফিজিওথেরাপি, কাপিং থেরাপি এবং অন্যান্য থেরাপি দেওয়া হয়।
হাঁটু-ব্যথার টিসিএম চিকিৎসার লক্ষ্য কেবল ব্যথা উপশম ন। এর লক্ষ্য হাঁটুর ব্যথা কমানোর পাশাপাশি সামগ্রিক শরীরিক সুস্থতা ফিরিয়ে আনা।
#চিকিৎসার_খোঁজ