দেহঘড়ি পর্ব-০৩৯
‘দেহঘড়ি’র এ পর্বে থাকছে ট্যাডিশনাল চাইনিজ মেডিসিন বা টিসিএম নিয়ে আলোচনা ‘ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসাধারা’, চীনের হাসপাতাল-পরিচিতি ‘চিকিৎসার খোঁজ’ এবং টিসিএম ভেষজের উপকারিতা নিয়ে আলোচনা ‘ভেষজের গুণ’।
#ঐতিহ্যবাহী_ চিকিৎসাধারা
হাঁটু-ব্যথা দূর হয় টিসিএমে
হাঁটু হলো মানবদেহের সবচেয়ে বড় অস্থিসন্ধি। হাঁটুতে ব্যথা একটি সাধারণ সমস্যা, যাতে ভোগে সব বয়সের মানুষ। তবে বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। হাঁটু টিবিয়া বা শিনের হাড় এবং ফিমার বা উরুর হাড়ের মধ্যে প্রধান বিন্দু হিসাবে কাজ করে এবং নড়াচড়া ও ওজন বহন করার ক্ষেত্রে এর গুরুত্ব ভীষণ। হাঁটুতে একাধিক লিগামেন্ট ও টেন্ডন থাকে, যা অস্থিসন্ধিকে সমর্থন দেয়।
পশ্চিমা চিকিৎসাব্যবস্থায় মনে করা হয়, লিগামেন্ট বা তরুণাস্থির ছিঁড়ে যাওয়া বা আঘাতের ফলে হাঁটুতে ব্যথা হতে পারে। বাত, গেঁটেবাত ও সংক্রমণের মতো রোগের কারণেও এটা হতে পারে।
দুর্ঘটনাজনিত কারণ ছাড়া হাঁটুতে ব্যথা হলে চিরাচরিত চীনা চিকিৎসাপদ্ধতি বা টিসিএমে মনে করা হয়, কিডনি বা লিভারে ‘ছি’ ও রক্তের স্থবিরতা ও ভারসাম্যহীনতার কারণে এটা হতে পারে। টিসিএম তত্ত্ব মতে, হাঁটু এমন একটি অস্থিসন্ধি, যেখানে থাকে প্রচুর ‘ছি’ বা মূল শক্তি ও রক্ত। এ কারণে হাঁটুকে ‘ছি’ ও রক্ত সঞ্চালনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান হিসাবে বিবেচনা করা হয়। ‘ছি’ আসলে দুটি শক্তির সমন্বয় – ঠান্ডাশক্তি বা ‘ইয়িন’ এবং তাপশক্তি বা ‘ইয়াং’।
ধরন: হাঁটু-ব্যথার সাধারণ ধরনগুলোর মধ্যে রয়েছে আর্থ্রাইটিস বা বাত, টেন্ডোনাইটিস, মেনিস্কাস টিয়ার এবং বারসাইটিস।
লক্ষণ: হাঁটু-ব্যথা হলে আক্রান্ত ব্যক্তিরা হাঁটা, বসা বা সিঁড়ি ভাঙ্গার ক্ষেত্রে অসুবিধা বোধ করে এবং তাদের চলাফেরা সীমিত হয়ে পড়ে। বেশিরভাগ রোগী আঙুল দিয়ে চাপ দিলে নির্দিষ্ট কয়েকটি বিন্দুতে ব্যথা অনুভব করে। কিছু রোগী হাঁটুর অস্থিসন্ধিতে ফোলাভাব লক্ষ্য করতে পারে আবার কেউ কেউ শরীরের নিচের অংশে ঠান্ডা অনুভব করতে পারে।