দেহঘড়ি পর্ব-০৩৮
ক্লিফোর্ড সর্বোচ্চ স্তরের একটি হাসপাতাল হিসাবে স্বীকৃত। সর্বাধুনিক চিকিৎসাপ্রযুক্তি ও চিকিৎসাসুবিধা সম্বলিত এ হাসপাতালে কর্মরত এক হাজারেরও বেশি আন্তর্জাতিক পেশাদার চিকিৎসাকর্মী। এখানে রয়েছে একটি বিস্তৃত বহিরাগত রোগী বিভাগ, ইনপেশেন্ট বিভাগ এবং জরুরি বিভাগ। পাশাপাশি এখানে রয়েছে বহিরাগত রোগীদের জন্য প্রায় দুশো পরামর্শ কক্ষ এবং টিসিএম, পশ্চিমা চিকিৎসাসুবিধা, অভ্যন্তরীণ ওষুধ, সার্জারি, গাইনোকোলজি, প্রসূতি ও শিশুরোগসহ ৪০টিরও বেশি ক্লিনিকাল ইউনিট। বিশেষায়িত ইউনিটগুলোর মধ্যে আছে অনকোলজি সেন্টার এবং প্রাকৃতিক চিকিৎসাকেন্দ্র। প্রতিদিন প্রায় ৩ হাজার বহিরাগত রোগী এ হাসপাতাল থেকে সেবা নেয়।
ক্লিফোর্ড হাসপাতাল ২০০৩ সালের ডিসেম্বরে জয়েন্ট কমিশন ইন্টারন্যাশনাল বা জেসিআই’র স্বীকৃতি অর্জন করে। এটিই জেসিআই স্বীকৃতিপ্রাপ্ত চীনের প্রথম হাসপাতাল। জেসিআই স্বীকৃতির অর্থ হলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) স্বীকৃত স্বাস্থ্যসেবার সর্বোচ্চ মানের নিশ্চয়তা রয়েছে এখানে।
এরপর ২০০৬, ২০০৯, ২০১২ এবং ২০১৫ সালেও শীর্ষ গ্রেড নিয়ে জেসিআই স্বীকৃতি পায় ক্লিফোর্ড হাসপাতাল। বছরের পর বছর উন্নয়নের মধ্য দিয়ে ক্লিফোর্ড বিশ্বের একমাত্র সমন্বিত মেডিসিন হাসপাতাল হয়ে উঠেছে, যেখানে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য নিয়ে জেসিআই-স্বীকৃত টিসিএম, পশ্চিমা চিকিৎসা এবং প্রাকৃতিক মেডিসিনের সম্মিলন ঘটেছে। এছাড়া ক্লিফোর্ড অর্ধশতাধিক বিখ্যাত আন্তর্জাতিক বীমা কোম্পানি দ্বারা স্বীকৃত এবং ৬০টিরও বেশি দেশে এক দুর্দান্ত খ্যাতি তৈরি করেছে।
ক্লিফোর্ড হাসপাতাল ইতোমধ্যে অঙ্কোলজি, আকুপাংচার ম্যাসেজ চিকিৎসা, কার্ডিওলজি ও হৃদরোগ, স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা, নেফ্রোলজি, এন্ডোক্রাইনোলজি, গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি ও হেপাটোলজি, নিউরোলজি, প্রিভেন্টিভ মেডিসিন, পেডিয়াট্রিক্স, ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি ইত্যাদি ক্ষেত্রে জাতীয় পর্যায়ের এবং আকুপাংচারে প্রাদেশিক পর্যায়ের শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে।