দেহঘড়ি পর্ব-০৩৬
‘দেহঘড়ি’র এ পর্বে থাকছে ট্যাডিশনাল চাইনিজ মেডিসিন বা টিসিএম নিয়ে আলোচনা ‘ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসাধারা’ এবং চীনের হাসপাতাল-পরিচিতি ‘চিকিৎসার খোঁজ’।
#ঐতিহ্যবাহী_ চিকিৎসাধারা
সোরায়াসিস উপশমে অতুলনীয় টিসিএম
সোরায়াসিস হলো এমন এক ধরনের চর্মরোগ যা সাধারণত হাঁটু, কনুই, ধড় ও মাথার ত্বকে চুলকানি এবং আঁশযুক্ত দাগসহ ফুসকুড়ি সৃষ্টি করে। সোরায়াসিস একটি ব্যাপকবিস্তৃত দীর্ঘস্থায়ী রোগ যার কোনো নিরাময় নেই। তবে চিরাচরিত চীনা চিকিৎসা ব্যবস্থা (টিসিএম) সোরায়াসিস উপশমে সাহায্য করতে পারে।
সোরায়াসিস একটি অটোইমিউন শারীরিক সমস্যা। অর্থাৎ রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থার বিভ্রাটের কারণে এটি সৃষ্টি হয়৷ সোরায়াসিস হলে শরীরের আক্রান্ত অংশে অনেক বেশি ত্বক-কোষ তৈরি হয়, যার ফলে ত্বকে পুরু আঁশ সৃষ্টি হয়, যা ‘প্ল্যাকস’ বা ফুসকুড়ি নামে পরিচিত।
ত্বকের ফুসকুড়ি ও অন্যান্য সমস্যা যেমন একজিমা, ডার্মাটাইটিস ও লুপাসের মতো রোগের মতোই সোরায়াসিসের লক্ষণ মাঝে মাঝে তীব্র হয়ে ওঠে। খুব প্রদাহের কারণেও এর তীব্রতা বাড়তে পারে। এছাড়া এইচআইভি ও হেপাটাইটিস সি’র মতো ভাইরাল সংক্রমণ কিংবা ক্যান্ডিডা বা ইস্টের মতো ছত্রাকের সংক্রমণও সোরায়াসিস জাগিয়ে তুলতে পারে৷
বিশ্বে বহু মানুষ এ রোগে ভোগে। সোরায়াসিসের ফুসকুড়ি তীব্র চুলকানি সৃষ্টি করতে পারে। কখনও কখনও এটা এতটাই তীব্র হতে পারে যে, আক্রান্ত ব্যক্তির দৈনন্দিন কাজে মনোনিবেশ করার ক্ষমতাকে নষ্ট করে দিতে পারে এবং ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে৷
সোরায়াসিস কী কারণে হয়, তা এখনো নিরূপণ করতে পারেনি চিকিৎসা গবেষণা। তবে ধারণা করা হয়, এটি খানিকটা বংশগত কারণে এবং খানিকটা পরিবেশগত কারণে হয়ে থাকে।
সোরায়াসিস পাঁচ ধরনের হয় – প্লাক সোরায়াসিস, গুট্টেট সোরায়াসিস, পাস্টুলার সোরায়াসিস, ইনভার্স সোরায়াসিস এবং এরিথ্রোডার্মিক সোরায়াসিস। এগুলো মধ্যে সবচেয়ে কমন প্লাক সোরায়াসিস। একশ সোরায়াসিস রোগীর মধ্যে প্রায় ৮০ জনই এ ধরনের সোরায়াসিসে ভোগে।