দেহঘড়ি পর্ব-০৩৪
হাসপাতালটি ‘উৎসর্গ, দানশীলতা, ঐক্য ও অতিক্রম করে যাওয়া’ – এই সংস্কৃতিকে সমুন্নত রাখছে, প্রযুক্তিগত অগ্রগতিকে গুরুত্ব দিয়ে চলেছে, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মীদের শক্তিশালী করে গড়ে তুলছে, ক্রমাগত চিকিৎসা-সেবা উন্নত করে চলেছে এবং উচ্চতর শৃঙ্খলা গড়ে তুলেছে।
একটি জেনারেল হাসপাতালে সাধারণত যতগুলো বিভাগ থাকে, তার সবই রয়েছে চতুর্থ অধিভুক্ত হাসপাতালটিতে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে অভ্যন্তরীণ ওষুধ, সাধারণ শল্য চিকিৎসা, জরুরি ওষুধ, নিবিড় পরিচর্যা ওষুধ, কার্ডিওলজি, ইউরোলজি, নিউরোলজি, রেডিওলজি, অর্থোপেডিকস, প্যাথলজি, নেফ্রোলজি, হেমাটোলজি, চক্ষুরোগবিদ্যা, শল্যচিকিৎসা, স্ত্রীরোগ, শিশুরোগ, গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি, ফিজিওথেরাপি, বহির্বিভাগ, চর্মরোগ, ফার্মেসি ও রিউমাটোলজি।
#ভেষজের গুণ
সলোমন’স সীলের এতো কদর কেন?
সলোমন’স সীল বা পলিগোনটাম একটি ভেষজ, যা ওষুধ, বিশেষ করে ঐতিহ্যবাহী ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। অস্থিক্ষয়, প্রদাহ, ক্ষত, আলসার বা ফোঁড়া, অর্শ্বরোগ, ত্বকের লালভাব এবং টিস্যু শুকিয়ে যাওয়া প্রতিরোধ ও নিরাময়ে এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এ ভেষজটি ভালো কাজ করে। জানিয়ে দিচ্ছে এর বিভিন্ন উপকারিতা সম্পর্কে:
অস্থি শক্ত রাখে: বয়স বাড়ার সাথে সাথে মানুষের হাড় দুর্বল হয়। হাড়গুলোকে সুস্থ রাখতে, শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে এবং কোষের পুনর্জন্মে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন তৈরির জন্য অনেক বেশি পানির প্রয়োজন হয়। এই পানির যোগান দেয় সলোমন’স সীল।
সংযোগকারী টিস্যু সুস্থ রাখে: আমাদের টেন্ডন ও লিগামেন্ট যাতে খুব শক্ত বা খুব আলগা না হয়, সেজন্য সেগুলোতে সঠিক মাত্রার স্থিতিস্থাপকতা প্রয়োজন হয়। এই স্থিতিস্থাপকতা ধরে রাখতে সাহায্য করে সলোমন’স সীল।
প্রদাহ ও ব্যথা উপশম করে: সলোমন’স সিলে অ্যালানটোইন নামক একটি প্রাকৃতিক প্রদাহ-বিরোধী পুষ্টি রয়েছে। তাই এটি ব্যথা কমায়, স্নায়ু শান্ত করে, প্রদাহ কমায় এবং প্রশান্তিময় ঘুমে সাহায্য করে। এ উপাদানের কারণে এ ভেষজ লোশন, ত্বকের ক্রিম, চর্মরোগের ওষুধ, মুখের স্বাস্থ্যরক্ষা পণ্য এবং প্রসাধনীতে ব্যবহৃত হয়।