দেহঘড়ি পর্ব-০৩০
হাসপাতালটির সদর দপ্তর কুয়াংচৌ শহরের কেন্দ্রস্থলে পার্ল নদীর দক্ষিণ তীরে অবস্থিত। এক হাজার ৬৫০ শয্যার এ হাসপাতালে বছরে প্রায় ১৫ লাখ রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং প্রায় ৪০ হাজার রোগীকে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালটি দুটে ক্যাম্পাসে বিভক্ত – ছাংকাং শাখা হাসপাতাল (যেটি ছাংকাং পুনর্বাসন কেন্দ্র নামে পরিচিত) এবং কুয়াংচৌ আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র (যেটি বাইয়ুন ক্যাম্পাস নামে পরিচিত)। হাসপাতালের ইন-পেশেন্ট ভবন এবং সদর দপ্তরের বিজ্ঞান ও শিক্ষা ভবনের উন্নয়নে ২০২২ সালে নতুন করে ৬০ কোটি ইউয়ান বিনিয়োগ করা হয়। এর মাধ্যমে একটি উচ্চ-মানের ল্যামিনার ফ্লো ওয়ার্ড, ইলেকট্রনিক রেডিওথেরাপি সরঞ্জাম, সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় পরিদর্শন লাইন, স্বয়ংক্রিয় ওষুধ সরবরাহ ব্যবস্থা, জরুরি চিকিৎসা কেন্দ্র, ইত্যাদি গড়ে তোলা হয়েছে।
চীনের দক্ষিণাঞ্চলের সেরা চিকিৎসাকর্মীদের সমাবেশ ঘটেছে কুয়াংচৌ রেড ক্রস হাসপাতালে। এখানে কর্মরত ২ হাজারেরও বেশি চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যকর্মী, যাদের মধ্যে রয়েছেন রাষ্ট্রীয় পরিষদের বিশেষ ভাতাভোগী বিশেষজ্ঞ, ‘কুয়াংতুং প্রদেশের অসামান্য তরুণ চিকিৎসা প্রতিভা’, ‘কুয়াংতুং প্রদেশের বিখ্যাত টিসিএম চিকিৎসক’, কুয়াংতুং প্রদেশের প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন ক্ষেত্রের শীর্ষ প্রতিভা, ‘কুয়াংচৌয়ের চিকিৎসা প্রতিভা’, ‘কুয়াংচৌ উচ্চ-স্তরের প্রতিভা’সহ ৩ শতাধিক বিশেষজ্ঞ।
কুয়াংচৌ রেড ক্রস হাসপাতাল ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জামের ক্লিনিকাল ট্রায়াল বিষয়ক জাতীয় প্রতিষ্ঠান, ওষুধের প্রতিকূল প্রতিক্রিয়া পর্যবেক্ষণ বিষয়ক জাতীয় কেন্দ্র, ক্লিনিকাল ফার্মাসিস্টদের প্রশিক্ষণ বিষয়ক জাতীয় কেন্দ্র, দীর্ঘস্থায়ী রোগের চিকিত্সা ব্যবস্থাপনা বিষয়ক জাতীয় কেন্দ্র হিসাবেও দায়িত্ব পালন করে। এখানে রয়েছে চায়না চেস্ট পেইন সেন্টার, ন্যাশনাল অ্যাডভান্সড স্ট্রোক সেন্টার, কুয়াংতুং প্রদেশের শিশু লিউকেমিয়া চিকিত্সা কেন্দ্র, কুয়াংতুং প্রদেশের মেডিকেল কসমেটোলজি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, কুয়াংচৌর আঞ্চলিক জরুরি চিকিৎসা কেন্দ্র, কুয়াংচৌর ট্রমা ও দগ্ধ চিকিৎসা কেন্দ্র, গর্ভবতী মহিলাদের আঞ্চলিক চিকিত্সা কেন্দ্র, ইত্যাদি।