দেহঘড়ি পর্ব-০৩০
‘দেহঘড়ি’র এ পর্বে থাকছে ট্যাডিশনাল চাইনিজ মেডিসিন বা টিসিএম নিয়ে আলোচনা ‘ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসাধারা’, চীনের হাসপাতাল-পরিচিতি ‘চিকিৎসার খোঁজ’ এবং টিসিএম ভেষজের উপকারিতা নিয়ে আলোচনা ‘ভেষজের গুণ’।
#ঐতিহ্যবাহী_ চিকিৎসাধারা
ল্যারিঞ্জাইটিস সারে টিসিএমে
ল্যারিঞ্জাইটিস এমন একটি রোগ যাতে আক্রান্ত হলে স্বরযন্ত্র ফুলে যায় এবং প্রদাহ সৃষ্টি হয়। ইনফ্লুয়েঞ্জা ও কোভিড-নাইনটিনের মতো ভাইরাল সংক্রমণ, কণ্ঠের অত্যাধিক ব্যবহার, দীর্ঘস্থায়ী কাশি, পরিপাক ব্যবস্থা থেকে অ্যাসিড উঠে আসে, ধূমপান এবং অ্যালার্জেনের সংস্পর্শে আসার কারণে সাধারণত ল্যারিঞ্জাইটিস হয়। ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কারণেও ল্যারিঞ্জাইটিস হতে পারে। কণ্ঠের ব্যবহার যারা বেশি করেন, তাদের মধ্যে এই রোগের হার বেশি। কেন্দ্রীয় শীতাতপ বা উষ্ণায়ন ব্যবস্থা এ রোগকে খারাপ করতে পারে। ল্যারিঞ্জাইটিস সাধারণত সপ্তাহখানেক স্থায়ী হয় এবং এটা গুরুতর কোন সমস্যায় রূপ নেয় না, তবে যতদিন থাকে বেশ ভালই ভোগায়।
ভয়েস বক্স নামে পরিচিত ল্যারিঙ্কস বা স্বরযন্ত্রে থাকে ভোকাল কর্ড বা স্বরতন্ত্রী। এগুলো শ্বাস নেওয়া, গেলা ও কথা বলার জন্য অত্যাবশ্যক। ভোকাল কর্ড হলো তরুণাস্থি ও পেশীকে আবৃত করা শ্লেষ্মা ঝিল্লির দুটি ছোট ভাঁজ, যার কম্পনের মাধ্যমে শব্দ সৃষ্টি হয়।
ল্যারিঞ্জাইটিস বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রাপ্তবয়স্কদের হয় এবং মহিলাদের তুলনায় পুরুষরা এতে বেশি আক্রান্ত হয়। এটি শিশুদেরকেও প্রভাবিত করতে পারে, এবং পাঁচ বছরের কম বয়সীদের ক্ষেত্রে এটি আরও গুরুতর হতে পারে। কারণ তাদের স্বরযন্ত্র ছোট ও সরু। এসব ক্ষেত্রে স্বরযন্ত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির মতো জটিলতা দেখা দিতে পারে।
ল্যারিঞ্জাইটিসের সাধারণ লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রদাহ, ফুলে যাওয়া, চুলকানি, গলা বসে যাওয়া, কণ্ঠস্বর কর্কশ হয়ে যাওয়া, ক্রমাগত কাশি, জ্বর এবং গলা পরিষ্কার করার তাগিদ অনুভব করা।