বাংলা

দেহঘড়ি পর্ব-০২৬

CMGPublished: 2023-07-09 16:05:21
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

খাদ্য নির্বাচনে শারীরিক গঠন বিবেচনায় নিন: সঠিক খাদ্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে অনেকখানি গুরুত্ব বহন করে আপনার শারীরিক গঠন। উদাহরণ হিসাবে বলা যায়, আপনার বিপাকীয় প্রক্রিয়া যদি ধীর হয়, তাহলে আপনি মশলাদার খাবার খেয়ে উপকৃত হতে পারেন। কিন্তু আপনার বিপাকীয় প্রক্রিয়া যদি দ্রুত হয়, তাহলে এমন খাবার ক্ষতির কারণ হতে পারে। আপনি যে পরিবেশ ও আবহাওয়াও বাস করেন, সর্বোত্তম খাদ্যাভ্যাস নির্ধারণের ক্ষেত্রে সেগুলোর ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যখন গরম ও আর্দ্র আবহওয়ায় থাকেন, তখন সালাদের মতো শীতল খাবার বেছে নিন আবার যখন ঠান্ডা আবহাওয়ায় বাস করেন, তখন উষ্ণতাদায়ক খাবার গ্রহণ করুন।

খাদ্য গ্রহণে নিয়মানুবর্তিতা মেনে চলুন: খাদ্য গ্রহণের একটি সময়সূচি মেনে চলুন এবং কোনও বেলার খাবার এড়িয়ে যাওয়া পরিহার করুন। খেয়াল রাখুন প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাবার যেন আপনি না খেয়ে ফেলেন। অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণ খাবারকে কার্যকরভাবে হজম করা এবং শরীরের চারপাশে পৌঁছে দেওয়া পাকস্থলী ও প্লীহার জন্য কঠিন করে তোলে। খাবারের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত বিরতি অন্ত্রের আর্দ্রতা কমিয়ে কোষ্ঠকাঠিন্যে সৃষ্টি করতে পারে।

সুষম খাবার খান: টিসিএমের নীতি অনুসারে, সুষম খাদ্যে পাঁচটি স্বাদ অন্তর্ভুক্ত থাকা উচিত। এগুলো হলো মিষ্টি, টক, মশলাদার, তিক্ত ও নোনতা খাবার। মিষ্টি খাবার পুষ্টি জোগায় এবং শরীরকে আর্দ্র রাখে, যার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূরে থাকে। অন্যদিকে লেবুর মতো টক খাবার পরিপাকতন্ত্রে সংকোচন বাড়ায় এবং অতিরিক্ত তরল থাকলে তা অপসারণে সাহায্য করে। মশলাদার খাবার যেমন আদা, রসুন ও মরিচ ক্ষুধাকে উদ্দীপিত করে এবং শরীরের চারপাশে রক্ত ও ‘ছি’ সঞ্চালনে সহায়তা করে। তিক্ত খাবার শরীর শীতল করে এবং ক্লেদ দূর করে। লিভারের কার্যকারিতা মন্থর হলে সেক্ষেত্রে বিশেষভাবে উপকারী হতে পারে এমন খাবার। চিংড়ি ও সামুদ্রিক শৈবালের মতো নোনতা খাবার অন্ত্রে লুব্রিকেন্টের কাজ করে এবং শরীরে জমে থাকা বর্জ্য অপসারণে সহায়তা করে।

首页上一页1234全文 4 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn