দেহঘড়ি পর্ব-০২৪
এখানে রয়েছে ২টি জাতীয় ক্লিনিকাল মেডিসিন গবেষণা কেন্দ্র, ১টি রাষ্ট্র-প্রদেশ পর্যায়ের যৌথ পরীক্ষাগার, ৬টি জাতীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ এবং ১৭টি প্রাদেশিক ও মন্ত্রণালয়-স্তরের পরীক্ষাগার ও গবেষণাকেন্দ্র।
এখানকার শিক্ষার্থীরা জাতীয় ক্লিনিকাল দক্ষতা প্রতিযোগিতায় ৬টি বিশেষ পুরস্কার জিতেছেন। এছাড়া হাসপাতালটি ১০টি রাষ্ট্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি পুরস্কার জিতেছে এবং বিগত পাঁচ বছরে ৪২০টি জাতীয় প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ১২টি মূল গবেষণা প্রকল্প, ১৮টি জাতীয় সহায়তা প্রকল্প, জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা কর্মসূচির গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। প্রযুক্তিগত প্রভাবের দিক থেকে এ হাসপাতালের এন্ডোক্রাইনোলজি ও মেটাবলজি, সাইকিয়াট্রি, রিউমাটোলজি, অটোইমিউন ডিজিজ, নেফ্রোলজি ও ডার্মোলজি দেশের শীর্ষ দশের মধ্যে রয়েছে।
#ভেষজের গুণ
সুপার ফুড গোজি বেরি
নানা স্বাস্থ্যগত গুণের কারণে গোজি বেরিকে সুপার ফুড বলে বিবেচনা করা হয়। তবে ঐতিহ্যবাহী চীনা চিকিৎসা ব্যবস্থায় ভেষজ হিসাবে এ ফলের ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে। হালকা মিষ্টি স্বাদের ফলটি শরীরে মূল শক্তি বা ‘ছি’ ও রক্তের ঘাটতি পূরণ করা এবং ‘ছি’র ঠান্ডাশক্তি ‘ইয়িন’ ও তাপশক্তি ‘ইয়াং’য়ের মধ্যে ভারসাম্য আনার জন্য ব্যবহৃত হয়। এ ফলটি শুকনো কাশি সারতে সাহায্য করে এবং শুষ্ক ফুসফুসকে আর্দ্র করে। এছাড়া এটি দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়, শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করে, প্রস্রাবের সমস্যা সমাধান করে এবং প্রজনন ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করে। কিডনি, লিভার ও ফুসফুসের স্বাস্থ্যের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে গোজি বেরির। পাশাপাশি এ ফলটি অকাল বার্ধক্য, পিঠ ও হাঁটুর ব্যথা, পুরুষত্বহীনতা, ডায়াবেটিস, মাথা ঘোরা, ঝাপসা দৃষ্টি ও শ্বাসকষ্ট প্রতিরোধ করতে পারে। এটি আবেগ নিয়ন্ত্রণ করার মাধ্যমে চিন্তায় ভারসাম্য আনতে এবং রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে সহায়তা করে।
পশ্চিমা চিকিৎসা ব্যবস্থায় মনে করা হয়, গোজি বেরিতে উচ্চমাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে এবং এটি ডিএনএ, লিপিড ও প্রোটিনের ক্ষতি প্রতিরোধে ভালো কাজ করে। ক্যান্সার প্রতিরোধেও অবদান রাখে এই ফল।
‘দেহঘড়ি’ অনুষ্ঠান সম্পর্কে আপনাদের মতামত ও পরামর্শ জানতে চাই আমরা। আমাদের ফেইসবুক পেইজ facebook.com/CMGbangla অথবা ওয়েবসাইট bengali.cri.cn’র মাধ্যমে জানাতে পারেন আপনাদের মতামত বা পরামর্শ।